নিজের জননীসুলভ আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেছে নিভ। সে দত্তক নিয়েছে একটি মুরগিকে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নিভ মাতৃস্নেহে লালন-পালন করে চলেছে মুরগিটিকে। নিয়মিত গোসল করাচ্ছে, একসঙ্গে খেলাধুলা করছে এবং যেকোনো বিপদজনক পরিস্থিতিতে আদরের মুরগিকে রক্ষা করতে ঝাঁপিয়ে পড়ছে।
ওই সাফারি পার্কে কর্মকর্তা মোর পরাট সাংবাদিকদের বলেন, সঙ্গী খুঁজে পেতে বেশ সমস্যায় ভুগতে হচ্ছিলো নিভকে। এজন্যেই হয়তো সে মুরগিটিকে নিজের সন্তানের মতো পালতে শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, এদের মধ্যকার বোঝাপড়াটা বিস্মিত করেছে চিড়িয়াখানার প্রত্যেককে। নিভের খাঁচার ফাঁক গলে সহজেই পালাতে সক্ষম মুরগিটি। কিন্তু প্রথম থেকেই সে নিভের সঙ্গেই থাকছে। এমনকি বন্যপ্রাণির খাঁচায় গৃহপালিত মুরগি কিভাবে প্রবেশ করলো- সে বিষয়েও সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারেননি কেউ।
ইন্দোনেশিয়ান ব্ল্যাক ম্যাকাক প্রজাতির এই বানর অনেক সময় মুরগি বা এ জাতীয় অন্যান্য পাখিদের হাতের কাছে পেলে মেরে খেয়ে ফেলে। তাই নিভের স্বপ্রজাতির অন্য কেউ যেন মুরগিটার কোনো ক্ষতি করতে না পারে, সেজন্য তাদেরকে আলাদা খাঁচায় রাখা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত মুরগিটিরর কোনো নাম রাখেনি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। সংবাদ মাধ্যমকে পরাট বলেন, নতুন অভিভাবক খুঁজে পেয়ে আনন্দেই দিন কাটছে তার। রাতেও সব সময় একসঙ্গে ঘুমাচ্ছে তারা।
ক্ষেত্র বিশেষে ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির প্রাণীদের মধ্যে বন্ধুত্ব তৈরি হয়। তবে সেটি সম্ভব হয় মানুষের হস্তক্ষেপে। বানর আর মুরগির মধ্যে সৃষ্ট এমন প্রাকৃতিক বন্ধুত্ব সত্যিই বিরল।
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব দ্য কনজারভেশন অব ন্যাচারের তথ্যমতে, ব্ল্যাক ম্যাকাক বিলুপ্তপ্রায় বানর প্রজাতি। ইন্দোনেশিয়ার উত্তরাঞ্চলের বনভূমি ও আশেপাশের দ্বীপগুলোতে এদের দেখা মেলে।
বাংলাদেশ সময়: ০২২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৭
এনএইচটি/এএসআর