চোখ শেভ করা কথাটা শুনতে যেমন লাগে অবাক, তেমনি মনে জাগে ভয়। কিন্তু এভাবে ব্লেড বা খুর দিয়ে চোখ শেভ করা চীনের ওই অঞ্চলের একটি অতি প্রাচীন প্রথা বা শিল্প।
সংবাদমাধ্যম সাংহাইলিস্ট.কম-এর প্রতিবেদনে জানা যায়, মানুষের চোখে এক প্রকার পরজীবী ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে এভাবেই রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসা হচ্ছে অনেক প্রাচীন আমল থেকে। আক্রান্ত রোগীরা বর্তমানেও নিজের চোখকে পেতে দিচ্ছেন খুরের তলায়।
মানুষের চোখ খুবই স্পর্শকাতর একটি অঙ্গ এবং গুরুত্বপূর্ণও বটে। নিজের চোখকে নাপিতের হাতে ধরে থাকা খুরের কাছে সোপর্দ করতে প্রয়োজন যথেষ্ট সাহসের। ওদিকে নাপিতকেও হওয়া চাই যথেষ্ট দক্ষ। হিসাবে ছোট্ট একটা ভুল হয়ে গেলেই আর দেখতে হবে না রোগীকে।
সংবাদমাধ্যমকে দাওয়া বক্তব্যে জিয়ং গাও বলেন, তিনি প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় নিয়োজিত। এই দীর্ঘ সময়ে একবারও কোনো রোগীকে আহত হতে হয়নি তার হাতে।
ওই শহরের সিশুয়ান প্রোভিনসিয়াল পিপলস হসপিটালের ডেপুটি ডিরেক্টর কিও চাউ বলেন, চোখের এই ব্যধিটির নাম ট্রাকোমা। এ ধরনের ইনফেকশন অবহেলা করলে পরে চোখের দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে এর থেকে মুক্তির জন্যে বিপদজনক উপায়ে খুর ব্যবহারের প্রয়োজন নেই আর। হাসপাতালে এর আধুনিক ও নিরাপদ চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে।
আগে এ রোগের সংক্রমণ বেশি ঘটতে দেখা গেলেও বর্তমানে তা অনেক কমে গেছে। মানুষের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির ফলেই এসব পরজীবী ঘটিত রোগের বিস্তার কমেছে বলে মনে করেন চীনের চিকিৎসকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৭
এনএইচটি/এএ