মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজ কুমার বৈশ্যের এ গৌরবময় অর্জনের পাশাপাশি এবছর লিমকা বুক অব রেকর্ড তাকে সবচেয়ে বেশি বয়সে স্নাতকোত্তর পরীক্ষার্থীর স্বীকৃতি দেয়।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমি আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পেরেছি।
রাজ কুমার বৈশ্য মনে করেন, পরাজয়ের ফলে কোনো অবস্থাতেই আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলা উচিত নয়। নিজের উপর বিশ্বাস রাখলে সাফল্য আসবেই।
এ বয়সে অন্য ছাত্রদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া সহজ কাজ ছিল না রাজ কুমারের জন্য। নালন্দা ওপেন ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ জানায়, পরীক্ষা চলাকালে টানা তিন ঘণ্টা তিনি লিখে যান। আশপাশের সবাই রাজকুমারের নাতি-নাতনির বয়সী। সেতুলনায় খুবই সাবলীলভাবেই তিনি পরীক্ষা দিয়ে গেছেন। প্রতিটি পরীক্ষায় তিনি প্রায় দুই ডজন পৃষ্ঠাও ব্যবহার করেছেন।
১৯২০ সালের ১ এপ্রিল উত্তর প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। স্নাতকোত্তর পড়ার ইচ্ছা থাকলেও সংসারের দায়িত্ব কাঁধে চেপে যাওয়ায় ঢুকে পড়তে হয়েছিল কাজের দুনিয়ায়। তিন যুগেরও বেশি সময় চাকরির পর অবসরও নেন তিনি।
১২ বছর আগে স্ত্রী বিয়োগের পর পুত্র সন্তোষ কুমারের সঙ্গে পাটনায় থাকতে শুরু করেন। তখনই সেই পুরনো স্বপ্নটা আবার জেগে ওঠে তার মনে। ২০১৫ সালে তিনি স্নাতকোত্তর কোর্সের জন্য ভর্তি হন।
এই প্রবীণ বয়সেও চশমা ছাড়াই সবকিছু পরিষ্কার দেখেন রাজ কুমার। নিজ হাতে ইংরেজি ও হিন্দি লিখতেও পারেন সাবলীলভাবে। নিরামিষাশী রাজ কুমার কখনই ভাজাপোড়া খান না। বয়সের অজুহাতে যারা নিজের স্বপ্নকে দূরে ঠেলে দিতে চান, তাদের জন্য এক উজ্জ্বল অনুপ্রেরণা তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৭
এনএইচটি/এএ