বোরামকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। এতে বলা হয়, ছয় বছর বয়সী এ ইউটিউবার সিউলের গ্যাংনামে ৯ দশমিক ৫ বিলিয়ন কোরিয়ান ওন (৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) খরচ করে একটি পাঁচতলা বাড়ি কিনে নিয়েছে।
বোরামের দু’টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউবে। এ দু’টিতে রয়েছে মোট ৩০ মিলিয়নেরও বেশি সাবস্ক্রাইবার। বোরামের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিওটি ৩৭৬ মিলিয়নেরও বেশিবার দেখা হয়েছে। তবে, তার তৈরি কিছু ভিডিও নিয়ে দেশটিতে এরইমধ্যে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। ২০১৭ সালে সেভ দ্য চিলড্রেন এ বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার কিছু নাগরিকদের কাছে অভিযোগ পায়। বোরামের ভিডিও তরুণদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে তারা চিন্তিত ছিলেন। তারা মূলত ভিডিওতে তার বাবার ওয়ালেট থেকে টাকা চুরি এবং সড়কে গাড়ি চালানোর বিষয় দেখানো নিয়ে আপত্তি করেছেন।
সংগঠনটি এ বিষয়ক ভিডিও পুলিশকে সরবরাহ করলে সিউল শহরের পারিবারিক আদালত বোরামের অভিভাবকদের শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ বিষয়ক একটি কাউন্সিলিং কোর্স শেষ করার নির্দেশ দেন। আপত্তিকর ভিডিওটি পরে সরিয়ে ফেলা হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে ইউটিউব থেকে শিশু তারকারদের আয় চোখ কপালে তোলার মতো! ফোর্বস ম্যাগাজিনের হিসেব অনুযায়ী, ২০১৮ সালে সাত বছর বয়সী আমেরিকান শিশু রায়ান কাজী ছিল সর্বোচ্চ আয় করা ইউটিউবার। তার আয় ছিল ২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ভিডিওতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন বা কোনো ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়া ছাড়াও ইউটিউবাররা বিভিন্নভাবে অর্থ আয় করেন। বোরাম তার ভিডিওগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পণ্যগুলোকে লিংক করে দিতো। যদিও শিশুদের ভিডিও ইউটিউবে কীভাবে পরিচালনা করা হবে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছিল। এরইমধ্যে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভিডিও শেয়ারিং সাইটটি অপ্রাপ্তবয়স্কদের সুরক্ষায় তাদের ভিডিওর নিচে কমেন্ট করার সুযোগ বন্ধ করে দেয়। বিচার-বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনার পর কয়েক ডজন ভিডিওর পাশাপাশি হাজারেরও বেশি কমেন্ট সরিয়ে নেয় কর্তৃপক্ষ। বন্ধ করে দেওয়া হয় ৪শ’র বেশি চ্যানেল।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৯
এইচএডি/