তবে, সেই আশাতেও গুড়েবালি। স্থানীয় আদালত তার ‘অতি আত্মবিশ্বাসী’ অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন।
সম্প্রতি ইউরোপীয় দেশ ওয়েলসে ঘটেছে এই ঘটনা।
ব্র্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানায়, ইসলামাবাদ থেকে এসে ২০১১ সালে ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ওয়েলসে রসায়ন বিভাগে ভর্তি হন রিয়াজ। কিন্তু, প্রথম বর্ষে পাস করতে না পারায় আবারও পরীক্ষা দিতে হয় তাকে। ২০১৪ সালে দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষাও পিছিয়ে যায় তার ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে।
এর ফলে, অনার্স ডিগ্রি পাওয়ার মতো প্রয়োজনীয় ক্রেডিট সংগ্রহে ব্যর্থ হন রিয়াজ। আবার পেরিয়ে যায় রেজিস্ট্রশনের সর্বোচ্চ সময়সীমাও। একারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নামে মামলা করেন তিনি। কিন্তু, তাতে কাজ হয়নি। অভিযোগ খারিজ করে দেন কার্ডিফ কাউন্টি আদালত।
এতে আরও ক্ষেপেছেন উমর রিয়াজ। তিনি বলেন, আমি লড়াই চালিয়ে যাবো। দরকার হলে এটি আরও উপরে, এমনকি জাতিসংঘে নিয়ে যাবো। যত দূর পারি, এটা নিয়ে তত দূর যাবো।
পাকিস্তানি এ যুবক বলেন, আমি পড়াশোনায় যথেষ্ট ভালো ছিলাম। বাড়িতে (পাকিস্তানে) ইংরেজি কোর্সেও পাস করেছি। আমার বাবা-মা পড়াশোনা জানেন না, তারা স্কুলেও যাননি। বাড়ির ছোট ছেলে আমি, একারণে পরিবার আমাকে উচ্চশিক্ষা নিতে পাঠিয়েছিল।
তিনি বলেন, সাধারণ একটা পাসে আমার কিছুই হবে না। আমি জৈব রসায়নে পিএইচডি করতে চাই। চূড়ান্ত বর্ষে আমি ইউরোপ-মধ্যপ্রাচ্যে চাকরির আবেদন করছিলাম। ইতালি-জার্মানি থেকে আমার কাছে বেশ কয়েকটি ইমেইলও এসেছে। তারা আমার কাজে খুশি, কিন্তু আমার যথেষ্ট ক্রেডিট নেই। থাকলে অন্যদের মতো আমিও হয়তো ভালো কোথাও কাজ করতাম।
তবে, উমর রিয়াজের এ লড়াই কতটা সফল হবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের দিক থেকে পরীক্ষার ফলাফলে কোনো সমস্যা নেই।
ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ওয়েলসের এক মুখপাত্র বলেন, আমরা সব অভিযোগই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। আমরা যথাযথ মান বজায় রাখতে সবসময় সচেষ্ট। আমাদের সব প্রক্রিয়াই সুষ্ঠু ও নিখুঁতভাবে করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৯
একে