হাতে খুন্তি নিয়েই হাউমাউ করে কান্না জুড়ে দেন ওই নারী। কেন এমন কান্না তা দেখতে পাড়া-প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন।
হইচই থামতে অবশ্য বোঝা গেলো, বড় একটা ভুল হয়ে গেছে। যিনি বাড়ি ফিরেছেন, তিনি ভূত নন। ভূষণ। বছর চুয়াত্তরের যে ভূষণ পালের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হয়েছে ক’দিন আগেই।
শুক্রবার দুপুরের ঘটনাস্থল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার নৈহাটির সাহেবকলোনি মোড় এলাকা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ভূষণ থাকতেন ভাইঝি গীতা এবং ভাইপো প্রদীপ পালের বাড়িতে। মানসিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ নন বৃদ্ধ। মাকে নিয়ে ভূষণের ছেলে ভাস্কর থাকেন মেদিনীপুরে। সেখানেই চাকরি-বাকরি করেন। ভূষণ মাঝেমধ্যেই বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতেন। ১০ নভেম্বর নৈহাটির বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ভূষণ। এরপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। করা হয়েছিল সাধারণ ডায়েরিও।
পরে নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে একটি অজ্ঞাতপরিচয় মরদেহকে ভূষণ বলে চিহ্নিত করে তার পরিবারের সদস্যরা। এরপর নিয়মমাফিক মরদেহের শ্রাদ্ধ সম্পন্ন করা হয়।
গীতা বলেন, ‘আমি দুপুরে রান্না করছিলাম। হঠাৎ জানলার সামনে দেখি, কাকা দাঁড়িয়ে। ভাত চাইলেন। দেখে আমার তো হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে গিয়েছিল। পরে বুঝলাম ব্যাপারটা আসলে কী!’
প্রতিবেশী সুমিত দাসের কথায়, ‘কয়েকদিন আগে যার শ্রাদ্ধে খেয়ে এলাম, সেই লোকটাই সশরীরে হাজির, এমন ঘটনা ভাবতেই পারছি না। ’
এতদিন কোথায় ছিলেন ভূষণের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই একটু ঘুরতে গিয়েছিলাম। ’
ভূষণকে জানানো হলো তার শ্রাদ্ধ হয়ে গেছে। তখন তিনি বললেন, ‘তাই নাকি, কই আমাকে তো নেমন্তন্ন করেনি!’
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০
এইচএডি/