প্রতিবছরের মতো ছয়মাস আগে ত্রিপুরা রাজ্যে কাজে আসেন সঞ্জয় বাউড়ি ও মঞ্জু নামে এক শ্রমিক দম্পতি। করোনার কারণে রাজ্যজুড়ে সব ধরনের কাজকর্ম বন্ধ থাকায় তারা পড়েন বিপাকে।
চলমান পরিস্থিতির মধ্যেই সামান্য খুশির হওয়া এনেছে এই শেল্টার হোম। সম্প্রতি ভ্রাম্যমাণ ওই দম্পতির কোল আলো করে জন্ম নেয় ফুটফুটে একটি সন্তান।
রাজ্যে আসার আগেই সঞ্জয় বাউড়ির স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তাদের বাড়ি রাজস্থানের আলোয়া এলাকায়। সঞ্জয় বাউড়ি ও তার স্ত্রী প্লাস্টিকের পণ্য বিক্রি করেন। এর জন্যেই এ রাজ্য থেকে ও রাজ্য ঘুরে বেড়াতে হয় তাদের।
লকডাউনে মানুষের উদ্বেগে মানুষ অস্থির তাই ছেলের নামের সঙ্গে সবসময় জড়িয়ে থাকবে এই অস্থির সময়ের স্মৃতি। এজন্য ওই দম্পতি বাঁচার লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়ে তাদের সদ্যোজাতের নাম রেখেছেন ‘লকডাউন’!
তিনি কেন তার সন্তানের নাম ‘লকডাউন’ রাখলেন জানতে চাইলে শিশুটির বাবা সঞ্জয় বাউড়ি জানান, লকডাউনে মানুষের উদ্বেগ, বাঁচার লড়াইকে কুর্নিশ করতে চান তারা। এই অভূতপূর্ব পরিস্থিতিকে মনে রাখতেই তারা সন্তানের এমন নাম রেখেছেন।
ছেলের জন্মের সময় প্রশাসন থেকে তাদের যথেষ্ট সাহায্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মঞ্জু বাউড়ি। খাবার দেওয়া থেকে শুরু করে শিশুটির বিষয়ে সব ধরনের সাহায্য করে যাচ্ছে প্রশাসন। মা মঞ্জু, তিনি খুবই খুশি।
তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব রাজস্থানে ফিরতে পারলে আরও বেশি খুশি হবো।
জানা গেছে, ত্রিপুরার শেল্টার হোমে মা ও শিশুটি সুস্থ রয়েছে। ওই শেল্টারটিতে বাউড়ি দম্পতির মতই আরও ১৩টি ভ্রাম্যমাণ শ্রমিক ও তাদের পরিবার রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২০
এএটি