ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অফবিট

মোহম্মদ রফির গানের তালে তালে পুলিশ ট্রেনিং!

অফবিট ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১১ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২০
মোহম্মদ রফির গানের তালে তালে পুলিশ ট্রেনিং!

পুলিশ বা সশস্ত্র বাহিনীর প্রশিক্ষণগুলো যেন অনেকটাই যান্ত্রিক আর একঘেয়ে। কী করে প্রশিক্ষণকালীন এই একঘেয়েমি কাটানো যায়, তার দারুণ সমধান বের করেছেন ভারতের তেলেঙ্গানা পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই)।

প্রশিক্ষণকালে যাতে কঠিন মুখে কুচকাওয়াজ করে যেতে না হয়, সে জন্য বলিউডের এক সময়কার তুমুল জনপ্রিয় গায়ক, কিংবদন্তী মোহাম্মদ রফির গান চালিয়ে দেন এই এএসআই। আর সবাই গানের তালে তালে কুচকাওয়াজ করতে থাকে।

একঘেমেয়িকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এভাবেই দীর্ঘ সময় ধরে পূর্ণ উদ্যমে চলে প্রশিক্ষণ।

আরেকটা মজার ব্যাপার হলো, মোহাম্মদ রফির গানের ভক্ত এই এএসআইয়ের নামও কিন্তু মোহাম্মদ রফি। অর্থাৎ, তারা মিতা।  

এএসআই রফির গানের তালে তালে প্রশিক্ষণ দেওয়ার এই ব্যাপারটাকে খুব আনন্দের সঙ্গে নিয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। কোনো রকম আপত্তির বদলে তারা রফিকে রীতিমত উৎসাহ দিয়ে চলেছে।   

সম্প্রতি মোহাম্মদ রফির গানের তালে তালে পুলিশ বাহিনীতে সদ্য নিয়োগ পাওয়া একদল নবাগতকে এএসআই রফি প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, টুইটারে এমন একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন আইপিএস আধিকারিক অনিল কুমার।

এক এএসআইয়ের ড্রিল করানোর ভিডিও (Viral Video) সামনে এলো। মহম্মদ রফির (Mohammad Rafi) এই গানটি গেয়ে যিনি পুলিশ প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন তিনিও আরেক মহম্মদ রফি, তিনি হলেন তেলেঙ্গানা পুলিশের এক এএসআই। তবে হ্যাঁ, অনেকেই ভাবতে পারেন যে, গানের তালে তালে ড্রিল করানোর বিষয়টি তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এলে নিশ্চয়ই বিস্তর বকাঝকা শুনবেন তিনি! কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, মোটেই না। বরং ওই এএসআইয়ের ড্রিল করানোর ভিডিও টুইটারে পোস্ট করলেন আইপিএস আধিকারিক অনিল কুমার।

এতে দেখা যায়, মোহাম্মদ রফির গাওয়া ৭০ দশকের ‘হামজোলি’ সিনেমার গান ‘ঢল গ্যায়া দিন’ গেয়ে, তার তালে তালে নবাগত পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন এএসআই রফি। নবাগতরা তার তালে তালে ক্লান্তিহীন কুচকাওয়াজ করে চলেছে।  

টুইটারে ভিডিওটি পোস্ট করে অনিল কুমার লেখেন, ড্রিল প্রশিক্ষককে হ্যাটস অফ।  

এরই মাঝে ১ লাখেরও বেশি মানুষ ভিডিওটি দেখেছে। ভারতের আইপিএস অ্যাসোসিয়েশনও (IPS Association) এটি শেয়ার করেছে।

এএসআই রফির এমন বুদ্ধিমত্তার প্রশংসায় ফেটে পড়েছে মানুষ। অনেকে অনেকভাবে তাকে ভালোবাসা, অভিনন্দন আর শ্রদ্ধা জানাচ্ছে। এ ধরনের আরও ভিডিও দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে অনেকে।  

কী করে এমন বুদ্ধি মাথায় এলো জানতে চাইলে এএসআই মোহাম্মদ রফি বলেন, আমি ২০০৭ সাল থেকে দেখছি এখানে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় সবাই শুধু শুকনো মুখে নির্দেশ পালন করে যায়। কিন্তু  আমি যখন প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করি, তখন সেটাকে মজার করার চেষ্টা করেছি, যাতে করে সবার উৎসাহ বাড়ে। প্রতিদিন ভোর সাড়ে ৪টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রশিক্ষণ চলবে। এই দীর্ঘ সময়ে যান্ত্রিকভাবে এখানে দেশপ্রেমের পাঠ পড়ানো হয়, সেই একঘেয়েমি থেকে বের হওয়ার চিন্তা থেকেই আসলে আমার মাথায় এমন ভাবনা এসেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২০ 
এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।