ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অফবিট

স্কুটার কিনতে মায়ের ভিক্ষার কয়েন নিয়ে শো-রুমে ছেলে!

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫১ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২২
স্কুটার কিনতে মায়ের ভিক্ষার কয়েন নিয়ে শো-রুমে ছেলে! ছবি: সংগৃহীত

মা ভিক্ষা করেন। এদিকে ছেলের শখ একটি স্কুটার কেনা।

ছেলের সে শখ পূরণের জন্য মা তার ৫ বছরের জমানো ভিক্ষার টাকা দিয়ে দিলেন। এরপর স্কুটার কেনার জন্য কয়েকটি প্লাস্টিকের বালতি ভর্তি কয়েন নিয়ে একটি শো-রুমে হাজির হন রাকেশ পাঁড়ে নামে ওই যুবক।

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগরে। খবর: আনন্দ বাজার

ছোট থাকতেই রাকেশ তার বাবাকে হারিয়েছেন। তারা দুই ভাই। তার মা ভিক্ষা করে দুই ছেলেকে বড় করেছেন। এখন বড় ভাই বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে থাকেন, মায়ের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ করেন না। রাকেশ কলকাতার একটি ম্যানহলের ঢাকনা তৈরির কারখানায় খুব সামান্য বেতনে কাজ করেন।

রাকেশ বলেন, আমার একটা স্কুটারের শখ ছিল।  তাই মা তার ভিক্ষা করে জমানো টাকা আমার হাতে দিয়ে বলেছেন, যা বাপ, স্কুটার কিনে শখ মিটিয়ে নে। আসলে আমার চেয়েও মায়ের বেশি শখ যে ঘরে একটা স্কুটার থাক।

খুচরো কয়েন কেন সব? এমন প্রশ্নের জবাবে রাকেশ বলেন, অন্য সব টাকা বা কয়েন মা খরচ করেন। শুধু এক টাকার কয়েন জমায়। এক টাকার কয়েন কেউ নিতে চায় না।

শো-রুমের মালিক সুব্রত ঘোষ বলেন, তিন বালতি কয়েন নিয়ে ওই যুবক স্কুটার কিনতে এসেছেন! বিষয়টি প্রথমে বুঝতে পারছিলাম না। আগে এমন ক্রেতা আমি দেখিনি। পরে বিষয়টি পরিষ্কার হলো। সময় লাগলেও আমরা ওই কয়েন নিয়ে গাড়ি বিক্রি করেছি।

শো-রুমের ম্যানেজার গৌরব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রথমে বুঝতে পারছিলাম না, এত খুচরো নিয়ে কী করব। আমাদের ব্যাংকও এ টাকা নিতে আগ্রহী ছিল না। কিন্তু এগুলো তো অচল টাকা নয়। নেবো না বলি কী করে?

এ বিষয়ে নদিয়া ব্যাংক ম্যানেজার তপু দত্ত বলেন, এক টাকার কয়েন অচল নয়। সবাই তা নিতে বাধ্য। সেটা কোনো ব্যাংক হোক বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২২
জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।