ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

সিকো ফাইভ চুরি থেকে গাড়িতে আগুন!

ফজলুল বারী, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫০ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১২
সিকো ফাইভ চুরি থেকে গাড়িতে আগুন!

এক সময় পুলিশ কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ লিখতে গেলেই সিকো ফাইভ ঘড়ি চুরি-ছিনতাই’র কথা লিখতো। তখন বাজারে সিকো ফাইভ ঘড়িটিই ছিল সাধারণ মানুষের চোখে সবচেয়ে দামি আর আভিজাত্যের প্রতীক।

এরপর থেকে বাজারে অনেক নতুন দামি ঘড়ির আসা-যাওয়া ঘটলেও পুলিশের লেখা অথবা জ্ঞান-গরিমায় সিকো ফাইভ ঘড়ির বিষয়টিই ঘটনার প্রথম জিডি অথবা অভিযোগপত্রে অনেকদিন ধরেই তার উপস্থিতির কথা জানান দিয়ে গেছে। এমনকি রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ লেখার সময়ও পুলিশ তার মুখস্ত সিকো ফাইভ ঘড়ির কথা লিখতো! এরপর আসে ক্যাশবাক্স লুট, গাড়ি পোড়ানো এসব বিষয়।

সর্বশেষ গত বিএনপি আমলে এবং এর ধারাবাহিকতায় এ সরকারের আমলেও প্রতিপক্ষের কোনো নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ লেখায় পুলিশ গাড়ি পোড়ানোর বিষয়টিকেই মুখ্য-গুরুত্ব দিয়ে আসছে। আগে প্রতিপক্ষের রাজনীতিকদের আটক-গ্রেফতারে বিশেষ ক্ষমতা আইনকে কাজে লাগানো হতো। ১৯৭৪ সালের সেই বিশেষ ক্ষমতা আইনে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কথা বলে যে কাউকে গ্রেফতার করে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বিনা বিচারে আটক রাখা যায়। কিন্তু প্রভাবশালীরা হাইকোর্টে গিয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটকাদেশের বিরুদ্ধে রিট মামলা দায়ের করে আটকাদেশ চ্যালেঞ্জ, মুক্তির ব্যবস্থা করে নিতে পারে বলে পরে সে কৌশল পাল্টে সিকো ফাইভ ঘড়ি চুরি-ছিনতাইতত্ত্ব ছেড়ে গাড়ি-পোড়ানো-তত্ত্বের দিকেই মনোযোগ বাড়ায় পুলিশ! কিন্তু যৌক্তিক নানা কারণে এ ধারাটি নিয়েও এখন সমালোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে! কারণ দেশের পুলিশ তথা সরকার এরই মধ্যে যুদ্ধাপরাধী, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধকারী মোস্ট ওয়ান্টেড ব্যক্তির আটক-গ্রেফতারেও গাড়ি পোড়ানো মামলার আশ্রয় নিয়েছে।

সর্বশেষ গাড়ি পোড়ানো মামলায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ৩৩ শীর্ষ নেতা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে গেলে জামিন না দিয়েআদালত থেকে তাদের সরাসরি কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এটা রীতিমতো নেতিবাচক একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। পচা শামুকে পা কাটার মতো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরও ভবিষ্যতে পড়তে হতে পারে এর ফাঁড়ায়!

বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলের বা যেকোন প্রতিবাদে হরতালে নিরীহ পাবলিকের গাড়ি ভাঙ্গে-পোড়ে; সে আগুনে নিরীহ মানুষকে নিষ্ঠুর, বর্বরোচিত উপায়ে পুড়িয়ে মারা হয়, এসবই শতভাগ সত্য। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় দেখতাম রাস্তার ওপর পুরনো টায়ার পুড়িয়ে, কটকেল ফাটিয়ে হরতাল তথা প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরুর জানান দেয়া হতো। মশাল মিছিল করা হতো হরতালের আগের সন্ধ্যায়। এখন প্রতিবাদের শুরু করার এবং তা প্রকাশের ধরণ পাল্টেছে! হরতাল আহবানকারী নেতারাও এখন অনেক পরিপাটি, কেতাদুরস্ত, নাগরিক! মশাল মিছিলে হাঁটার মতো নন! বড়জোর হরতালের আগের দিন ফটো সেশনের মতো কিছু পথ হেঁটে লিফলেট বিলি করা হয়। বা এসব কর্মসূচিতে পারতপক্ষে সব নেতাকর্মী যোগও দেন না। হরতাল বা কর্মসূচি ঘোষণায় মিডিয়া ব্রিফিং, জনসভার বক্তৃতায় অনেক ক্ষেত্রে ‘দেখে নেবো’ জাতীয় উস্কানিমূলক শব্দ-ভাষা ব্যবহার করা হয়। জনমানসে এর ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া কী হয় বা হতে পারে, তা এসব দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতানেত্রীরা ঠিকমতো বোঝেন কীনা বা বোঝার চেষ্টা করেন কীনা, তা কেউ জানে না।

হরতাল-কর্মসূচির বিরোধী দায়িত্বশীল সরকারি নেতানেত্রীরাও এসবের পাল্টা হুমকি হিসেবে ‘পারলে সামনে আসিস’ জাতীয় শব্দ-ভাষা ব্যবস্থা করেন। এসবের পারিপার্শ্বিক কী প্রতিক্রিয়া হতে পারে? এ নিয়েও তারা ভাবেন বা ভাবার চেষ্টা করেন, তাও বলা যাবে না। মূলত দু’পক্ষের হুমকি-পাল্টা হুমকিময় বক্তব্যে যার যার নেতাকর্মীরা এক ধরনের অরাজনৈতিক প্রস্তুতির বার্তা পায়। সরকারি নেতাদের বক্তৃতায় বিশেষ একটি বার্তা পায় পুলিশ-র্যাব, দলীয় ক্যাডাররা। তারাও শুরু থেকে মারমুখো আচরণ দেখায়। ‘বাঁশের চেয়ে কঞ্চি দড়’ জাতীয় প্রতিক্রিয়াও ঘটে! এসব প্রতিক্রিয়ার জেরে জনমনে সৃষ্টি হয় ভীতির। আজকাল হরতাল আহবানের পিছনে স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত করার এক ধরনের বিধবংসী মানসিকতা কাজ করে। দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি হুমকি-ধমকির জেরে সৃষ্ট ভীতি, গাড়ি পোড়ার আশংকায় তাই হরতালের আগের রাতেই ঢাকা সহ প্রধান শহরগুলোয় যানবাহন চলাচল কমে যায়। এতে করে ঘরে ফেরা নিয়ে ভুক্তভোগী ভোটার নাগরিকরা প্রাণ হাতে কী যে ঝুঁকি-ভোগান্তির মধ্যে পড়েন, তা শুধু তারাই জানেন। যারা হরতাল ডাকেন বা হরতালের বিরুদ্ধে হুমকি দেন, তারা কিন্তু এসবের কিছুই জানেন না। কারণ ‘বিশেষ সৌভাগ্যবান(!)’ তারা এসব পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করেন না। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহারকারী আমজনতার দুর্ভোগ-ভোগান্তির কষ্টও তারা জানেন না।

এবং হরতাল বা প্রতিবাদ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পাবলিকের গাড়ি, পুলিশের গাড়ি যে পোড়ে, এসব পুড়িয়ে দেয়া কোনো গাড়ির মালিক সরকারি বা বিরোধীদলের কেউ, এমন কথা কে কখন শুনেছে? সরকারি গাড়ি-সম্পত্তি যেগুলো আগুনে-ভাংচুরে পোড়ে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেগুলোও তো জনগনের টাকায় কেনা। আমাদের ‘আত্মঘাতী’ নেতাদের কেউ এসব জানার-বোঝারও চেষ্টা করেন না অথবা এরই মধ্যে বোধটিই বুঝি তারা খুইয়ে বসেছেন! ছবির ঘটনার গাড়িটি পুড়ে যাবার পর একপক্ষ আরেকপক্ষের ওপর দায় চাপিয়েই খালাস! বিরোধীদল বলে, সরকারি লোকজন বা এজেন্সির লোকজনই গাড়ি পুড়িয়ে বিরোধী দলের উপর দায় চাপাচ্ছে।   সরকারি দল মুখস্ত বলে বিরোধীদলের নাম! কিন্তু কোনো পক্ষই এসব দূর্বৃত্ত-দুষ্কৃতকারীদের হাতেনাতে ধরিয়ে দেয় না! কিন্তু সত্য হচ্ছে, এই নিষ্ঠুর পাল্টাপাল্টি রাজনীতির অপরণামদর্শী প্রতিযোগিতায় গাড়ি পুড়ে ছাই হয়। এর সঙ্গে ছাই হয় কোনো একজন নিরীহ মানুষের জীবন! বর্বরোচিত রাজনীতির শিকার, পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়া ভাগ্যহীন সেই মানুষটি, তার পরিবারটিও হয়তো আওয়ামী লীগ বা বিএনপির ভোটার! দীর্ঘ পাঁচটি বছর এ দুটি দলের ক্ষমতার কামড়াকামড়ির নষ্ট রাজনীতির উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা দেখেশুনে এরা যতই ক্ষুব্ধ আর ত্যক্ত-বিরক্ত হোন না কেন ভোটের সময় এলে কিন্তু নৌকা বা ধানের শীষ ছাড়া কিছু দেখেন না, বোঝেননা বা বুঝতে চান না!

আসলে আমাদের এই আমজনতা দৈনন্দিন জীবন-সংগ্রামে প্রতিদিনই একেকজন পরাজিত মানুষ! এরা প্রতিদিন হারেন, কিন্তু ভোটের একদিন জিততে চান। সেদিনও হারতে চান না। তাই হাওয়া বুঝে ঠাওর করে বুঝতে চান, কে জিতছে! শেষ মূহুর্তে সে পক্ষে অবস্থান নিয়ে দলটিকে জয়ী করে নিজেকেও বিজয়ী মনে করেন! কিন্তু তার-তাদের ভোটে বিজয়ী দলটিই ক্ষমতা পেয়ে গিয়ে উল্টাপাল্টা করছে দেখে আবার মনমরা হয়ে থাকেন, আবার হারতে শুরু করেন। এরপর একদিন এই ভোটারদেরই কেউ পুড়িয়ে দেয়া গাড়ি অথবা বর্বর রাজনৈতিক কোন্দলের কোনো এক নৃশংস দৃশ্যপটের ভিতরে আটকা পড়ে বেওয়ারিশ লাশ হয়ে যান, হারিয়ে যান চিরতরে!
 
সর্বশেষ হরতালগুলোকে কেন্দ্র করে যেসব গাড়ি পুড়েছে, আগুনে পুড়ে-ইটের আঘাতে অথবা পুলিশের গুলিতে যেসব মানুষ মারা গেছেন, এসবের দায় কিন্তু আমাদের সরকারি-বিরোধীদলের নেতারা এড়াতে পারেন না। ইলিয়াস আলী এবং তার গাড়িচালক আনসারের গুম হওয়া পরবর্তী আন্দোলনে ৬ জন মানুষের জীবন গেছে। ইলিয়াস আলীকে জীবিত ফেরত দেবার দাবিতে বিএনপি একের পর এক হরতাল করেছে, কিন্তু কোথাও কোনো কর্মসূচিতে কিন্তু ইলিয়াসের গাড়িচালক আনসারের নামটি পর্যন্ত বলছে না, প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ তালিকাটিতেও কিন্তু আনসার বা নিহত অপর ৬’জনের পরিবারের কথা কোথাও কোনো পক্ষের বক্তব্যে নেই! একইসঙ্গে দৃঢ়ভাবে যে কথাটি বলি, তাহলো প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সামনে গাড়ি পোড়ানোর মামলায় যে নেতাদের গ্রেফতার করে জেলে পোরা হয়েছে, তারা বা তাদের মাপের কেউ কিন্তু এসব গাড়ি পোড়ানোর সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত না বা জড়িত থাকার কথাও না। তাদের বক্তৃতা, আকার-ইঙ্গিত বা অন্য কোনোভাবে এসবের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্তি থাকতে পারে।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে যেমন বস্তির লোকজনকে টাকার বিনিময়ে ভাড়া করে নিয়ে এসে বিশাল জনসভার ছবি তৈরি করা হয়, হরতাল প্রস্তুতির ভীতি সৃষ্টির নামে হয়তো তেমন ভাড়া করা লোকজনকে এসবের পিছনে লাগানো-খাটানো হয়ে থাকে, কিন্তু এই মাপের নেতারা যে এসব কাজে প্রত্যক্ষ জড়িত না, তা দেশের যে কোন শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ বোঝেন। এ ব্যাপারে তাদের বোকা বানানোরও কোন  সুযোগ নেই, নিজেদের অতিচালাক দেখাতে এ রকম চেষ্টা যদি কেউ করতে থাকেন, দেশের মানুষজনের কাছে তারাই বোকা-মিথ্যাবাদী অথবা জুলুমবাজ হিসাবে চিহ্নিত হবেন।
 
অতএব বিরোধীদলের শীর্ষ নেতাদের এভাবে জেলে পাঠিয়ে আটকে রেখে কিন্তু দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ স্বাভাবিক হবেনা। রাজনৈতিক পরিবেশ স্বাভাবিক না হলে থাকলে কিন্তু স্বাভাবিক জনজীবন-উন্নয়ন-অর্থনৈতিক শান্তি-স্থিতি-বিনিয়োগ এসবের কিছুই হবেনা। ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হওয়াকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ধারাবাহিকভাবে উত্তপ্ত করা থেকে সংশ্লিষ্টদের নিবৃত্ত করার মানসেও যদি এদের আটক করার কৌশলটি হয়ে থাকে, তবু কিন্তু এটা সংকট থেকে উত্তরণের শুভ চেষ্টা হতে পারে না। অতএব অচলাবস্থা থেকে বেরুতে উভয়পক্ষের উচিত দ্রুত আলোচনায় বসা। যার যার দোষগুলো স্বীকার করুন। দোষ স্বীকার করলেই কিন্তু প্রতিকারের পথ পাওয়া যাবে। নইলে নয়। ছোট সমস্যাগুলো বড় করবেন না। তত্ত্বাবধায়ক ইস্যু নিয়ে সমস্যাটি সরকারের সৃষ্ট। আদালত পরবর্তী অন্তত দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়কের অধীনে করার পথ রেখেছিল। সে পথ বন্ধ করাতেই আজকের সমস্যাটি মাথাচাড়া দিয়েছে। বিএনপি যে শুধু সামনের নির্বাচন তত্ত্বাবধায়কের অধীনে চাইছে, আর কিছু বলছে না, এটিও মতলবী চিন্তাধারা! অর্থাৎ সামনের নির্বাচনে ক্ষমতায় চলে যেতে পারলে তারাও একই টানাহেঁচড়া শুরু করবে! আর বিএনপিকে তেমন মতলবী পথে নিয়ে যাবার জন্য মওদুদের মতো মতলববাজ নেতারাতো আছেনই! আর নির্ধারিত সময়ে নির্বাচনের আগে একটি নির্বাচিত সরকারকে টেনে হিঁচড়ে নামানোর শপথ ও চেষ্টার পিছনে যে অশুভ মতলবটি তা বুঝতেও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার নেই। তাদের কুমতলবের মধ্যে আছে যুদ্ধাপরাধের বিচার পণ্ড করা, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা, দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান মামলার মতো স্পর্শকাতর মামলাগুলোর বিচার বিলম্বিত ও পণ্ড করা।

অতএব সামনের নির্বাচনটা সবাইকে নিয়ে করার জন্য, এ নিয়ে সৃষ্ট অচলাবস্থা ও অনিশ্চয়তা দূর করার জন্য দরকার উভয়পক্ষের আন্তরিক সংলাপ ও সমঝোতার মনোভাব। সংলাপের এজেন্ডা শুধু হবে সামনের নির্বাচন---আর উভয়পক্ষের জন্যই থাকবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা সবার জন্য সমান সুযোগ। অন্য কিছু না। আর এ উদ্যোগটি সরকারি দলকেই নিতে হবে। চালাকি করতে গিয়ে এসব শুভ উদ্যোগ নিতে দেরি করলে যে সরকারেরই ক্ষতি বেশি হয়, ১/১১’র মতো দৃষ্টান্ত তৈরির পথ খুলে যায়, তা বোধহয় সংশ্লিষ্টদের এত তাড়াতাড়ি ভুলে বসাটা ঠিক হচ্ছে না।

ফজলুল বারীঃ সিডনি প্রবাসী সাংবাদিক ;

সম্পাদনা: জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর  
[email protected]

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।