ঢাকা, শনিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১ রবিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

(একটি খোলা চিঠি)

অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!

সুমি খান, অতিথি লেখক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১২
অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!

বিশ্বসভায় দাঁড়িয়ে দৃঢ় কন্ঠে তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ বাংলাদেশে নারী-পুরুষের সমঅধিকার বাস্তবায়ন এবং নারীর ক্ষমতায়নের  দৃঢ় অঙ্গীকার যে সফল রাষ্ট্রনায়কের কন্ঠে  উচ্চারিত হলো মঙ্গলবার,  তিনি আমাদের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অভিনন্দন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

আপনার যতো অঙ্গীকার এ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করেছেন, তার একজন  নগণ্য সুবিধাভোগীর পক্ষ থেকে আপনাকে  ধন্যবাদ  এবং বিনম্র কুর্নিশ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

প্রথমেই বলে রাখি, এই খোলা চিঠি আপনার নজরে হয়তো পড়বে না। তবু একজন রাষ্ট্রনায়কের প্রতি একজন সাধারণ নাগরিকের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশের দায়িত্ববোধ থেকেই এই লেখার অবতারণা।

আমাদের আদর্শ, আমাদের সাহস আর আমাদের চেতনার অগ্নিশিখা রোকেয়া সাখাওয়াৎ হোসেন পুরুষশাসিত এ সমাজের শৃঙ্খলে কুঠারাঘাত করে নারী জাগরণের ধ্বনি তুলে দিয়েছেন প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। তিনি বলেছিলেন, “...আমরা লেডি কেরানী হইতে আরম্ভ করিয়া লেডি ম্যাজিস্ট্রেট, লেডি ব্যারিস্টার, লেডি জজ সবই হইব। পঞ্চাশ বছর পরে লেডি ভাইসরয় হইয়া এদেশের সমস্ত নারীকে ‘রাণী’ করিয়া ফেলিব। ”

শত বছর পেরিয়ে রোকেয়ার অমর বাণী এ সমাজকে বার বার ঘা মেরে ‘নারীর অধিকার মানবাধিকার’- এ সত্য  প্রতিষ্ঠিত করেছে। বাংলাদেশে এখন  বিচার বিভাগ, প্রশাসন, কূটনীতি, নিরাপত্তা বাহিনী এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোতে নারীরা উচ্চ পদে আছেন- বিশ্বসভায় সেই তথ্য আপনি তুলে ধরেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এজন্যে ধন্যবাদ আপনাকে।

রোকেয়ার উত্তরসূরী হিসেবে শতবছর পরে হলেও নিজের যোগ্যতায় আপনি ঠাঁই করে নিয়েছেন বিশ্বসভায়। নিউইয়র্কের  ইন্টারকন্টিনেন্টাল বার্কলে হোটেলে সোমবার ‘সমঅংশীদারিত্বের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের ভাষণে আপনার কন্ঠে বাংলাদেশে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের অঙ্গীকার দৃঢ়তার সাথে উচ্চারিত হয়েছে। সংসদে ও নেতৃত্বের সব পর্যায়ে নারী প্রতিনিধিত্ব ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করার মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে তা বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন। ২০২১ সাল নাগাদ প্রশাসন, চাকরিসহ সব ক্ষেত্রে নারীদের প্রতিনিধিত্বের হার পুরুষের সমান দাঁড়াবে বলে আপনি জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। আপনার এ অঙ্গীকারের বাস্তবায়ন এদেশের নারীসমাজ তথা পুরো সমাজটাকেই বিশ্বের প্রথম কাতারের সফল রাষ্ট্রের তালিকায় দাঁড় করাবে নিশ্চিত।

বহুভাষাবিদ লেখক গবেষক নীরদ সি চৌধুরী বলেছিলেন ‘আত্মঘাতী বাঙ্গালী’। এদেশ বড়ো অকৃতজ্ঞের দেশ। তবু  মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ। এদেশে নারীর প্রতি সহিংসতা দমনে একের পর এক নীতিগত সিদ্ধান্ত এসেছে আপনার হাত দিয়ে। তৃণমূল পর্যায়ে নারীর আর্থিক এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যে একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আপনি। যার অনেকটাই এর মধ্যে সফল ভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বলতে হচ্ছে একজন নারী শুধু নয়, মানবতাবাদী রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে আপনার নারীবান্ধব কর্মযজ্ঞের ধারাবাহিকতায় একদিন এদেশের প্রতিটি নারী তার সংসার থেকে কর্মক্ষেত্র সব ক্ষেত্রে সমঅধিকার অর্জন করে রোকেয়ার ভাষায় ‘রাণী’ র মুকুট পরবে মাথায়। কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করি, আজকের বিশ্বসভায় আপনার উচ্চারিত অঙ্গীকার সত্যি হবে যেদিন, সেদিন যেন এ দেশের প্রতিটি নারী আপনাকে কুর্নিশ করে।

এখানে উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী  নারীর সমঅধিকার রক্ষায়,  নারীর প্রতি বৈষম্য নিরসনে এবং নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে প্রতিটি আইনি  পদক্ষেপে জাতিসংঘে বাংলাদেশ অন্যতম প্রধান স্বাক্ষরকারী (সিগনেটরি) সক্রিয় সদস্য রাষ্ট্র। ২০১১ থেকে ২০১৪ সময়ের জন্যে  বাংলাদেশ  সর্বোচ্চ ১৫৩ ভোট পেয়ে জাতিসংঘের সিডও কমিটির সদস্য  নির্বাচিত হয়েছে।

আমার নামের পাশে এখন আমার মায়ের নাম লিখতে হয়, যা এদেশে কেউ হয়তো কখনো ভাবে নি। বলতে দ্বিধা নেই, বাবার নাম লিখতে যেমন অনেক ভালো লাগে, তেমনি নিজের নামের সাথে মায়ের নাম লিখতে গিয়ে প্রতি মুহূর্তে নিজেকে খুব গর্বিত মনে হয়। এক অসাধারণ মায়ের সন্তান আমি। আমার নাম যতোবার কোনো কার্যক্রমে তালিকাভুক্ত হয়, ততোবার আমার মায়ের নামও তালিকাভূক্ত হচ্ছে। আমার মতো অনেকেরই নিশ্চয়ই এমন হয়। মা যে প্রিয়তম অনুভূতি; প্রিয় অনুভবের মহান ব্যক্তিত্ব। এখানে বলতে হয়, কর্মজীবী নারীদের জন্যে মাতৃত্বকালীন ছুটি  চার মাস থেকে ছয় মাসে  উন্নীত করা অনেক  আলোচিত এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে এরই মধ্যে মাতৃমৃত্যুর হার ৯০ শতাংশ কমে এসেছে। অস্বীকার করলে অন্যায় হবে আপনার দূরদর্শী নারীবান্ধব নীতিগত সিদ্ধান্তের কারণেই এই সাফল্য এসেছে।

জামায়াত- বিএনপি মহাজোট সরকারের সময়ে নারীবান্ধব সামান্য যে ক’টা আইন ছিল, সবক`টি নিষ্ক্রিয় করে দেয়া হয়েছিলো। ১৯৯৮ সালে আপনার নেতৃত্বে প্রণীত ‘নারীনীতি’ বাতিল করে দেয়া হয়েছিলো।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী , আপনি তার বিপরীতে কঠোরভাবে নারীবান্ধব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন একের পর এক, যা সত্যিই অভিনন্দনযোগ্য। তবে এর অনেকটাই আমজনতার জানা নেই তেমন। যাই হোক, এই অনুষ্ঠানে আপনি বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মোট জনশক্তির অর্ধেক হবে নারী এবং তাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ও গৃহে নির্যাতন থেকে রক্ষার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে বেশ কিছু যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আপনি। ২০১০ এর ফেব্রুয়ারিতে আপনার নেতৃত্বে ডমেস্টিক ভায়োলেন্স অ্যাক্ট-২০১০ অনুমোদনের মাধ্যমে বর্তমান সংসদে আরেকটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদেশে পরিবারিক সন্ত্রাসের শিকার নারীরা এ আইনের  বাস্তবায়নের প্রতীক্ষায় আছে।

বাংলাদেশে নারীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার ব্যাপারে বর্তমান সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তা এরই মধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। নারী উন্নয়ন নীতিমালায় উচ্চ শিক্ষার লক্ষ্যে মেয়েদের জন্য দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত বিনা বেতনে শিক্ষা, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে বিনামূল্যে বই বিতরণ এবং ২০০৯ সাল থেকে স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ে  ১৪ হাজার ২৮ জন নির্বাচিত নারী সফলভাবে কাজ করছে, যা এদেশে নারীর ক্ষমতায়নের অন্যতম দৃষ্টান্ত। গ্রামীণ নারীরা এখন সুদমুক্ত ঋণ পাচ্ছে।

একজন বিদেশিকে বিয়ে করলে এদেশের নারীরা এতোদিন তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হতো, তাদের সন্তানেরা এদেশের নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত ছিল। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এ নিয়ে ব্যারিস্টার সারা হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বারবার। প্রতিটি সরকারের কাছেই নারী সমাজের পক্ষ থেকে অন্যতম দাবি ছিল এটা। আপনার নেতৃত্বে বর্তমান সংসদ ১৯৫১ সালের ‘ দ্য ন্যাশনালিটি অ্যাক্ট ’অনুমোদনের মাধ্যমে এবার সেই অধিকার ফিরে পেলো এদেশের নারী এবং তাদের সন্তানেরা।

এদেশে রাজনীতিতে নারীর অবস্থান বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলোর চেয়ে ভালো বলা যায়। মন্ত্রীপরিষদের ৫ টি গুরুত্বপূর্ণ পদে কৃতিত্বের সাথে কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন ৫ খ্যাতিমান নারী। কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ,সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (বর্তমান ডাকমন্ত্রী) সাহারা খাতুন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপুমণি এর মধ্যেই তাদের মন্ত্রণালয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল মন্ত্রী হিসেবে মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন। জাতীয় সংসদের ৬৪ জন নারী সাংসদের মধ্যে ১৯ জন নারী সাংসদ সরাসরি ভোটে নির্বাচিত। সরকারি চাকুরির ৩০ ভাগ নারীদের জন্য সংরক্ষিত।   গ্রামীণ নারীদের জন্য শতকরা পাঁচ ভাগ সার্ভিস চার্জসহ সুদমুক্ত ঋণ দেয়া হচ্ছে। এই নারীদের সংখ্যা প্রায় আড়াই কোটি।  
এর বাইরে বর্তমানে ৩০ লাখ নারী তৈরি পোশাক খাতে কর্মরত আছেন এবং অনেকে বিদেশে কাজ করে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাচ্ছেন। এই খাতে কর্মরতদের  ৮৫ শতাংশের বেশি নারী। আত্মনির্ভরশীল এবং  কঠোর পরিশ্রমী হবার কারণে এই নারীরা অনেক বেশী আত্মবিশ্বাসী। এ কারণে পারিবারিক সহিংসতার হার তুলনামূলকভাবে অনেক কমে এসেছে।   বর্তমান সরকার এবং বায়ারদের চাপে কিছু কিছু কর্মক্ষেত্রে তৈরিপোশাক শিল্পে কর্মরত নারীদের জন্যে চিকিৎসাকেন্দ্র এবং বিশ্রামাগার  রয়েছে। তবে সব প্রতিষ্ঠানে  নারীবান্ধব এবং সমাজ সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে  আপনার উদ্যোগ যথার্থভাবে সফলতার দিকে এগিয়ে নিতে হবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। ২০০৯ সালে এ সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর নারী ও শিশুদের সুরক্ষায় মানবপাচার বিরোধী আইন এবং পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ আইন প্রণয়ন করেছেন আপনি।

বাংলাদেশে কাউন্টার টেররজিজম কার্যক্রমে এবং মানবাধিকার রক্ষায়, মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যুরোধ এবং নারী- শিশুর  সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এবং তাদের  সামাজিক ও মানসিক অধিকার রক্ষায় আপনার ভূমিকা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এনে দিয়েছে;  যা এদেশের প্রতিটি নাগরিককে সম্মানিত করেছে বলে আমার বিশ্বাস। ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৬ তম অধিবেশনে সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড -২০১১ পুরস্কারে আপনাকে ভূষিত করা হয়। তাই  বাংলাদেশকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ, প্রগতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে উদীয়মান তারকার  অবস্থানে  দেখছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান-কি মুন।

সাম্প্রতিক সময়ে নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী  বিজ্ঞ আমলা ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর এবং নতুন তথ্যমন্ত্রী প্রাজ্ঞ রাজনীতিক  হাসানুল হক ইনুর ভূমিকা আপনার সুশাসন নিশ্চিত করার ব্যাপারে আমাদের আশান্বিত করেছে। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করতে আপনি আপিলের সময়সীমা ৬০ দিন থেকে কমিয়ে ৩০ দিনে নামিয়েছেন, এজন্যে আপনাকে ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। আপনি জানেন  এদেশের প্রতিটি ঘরে মুক্তিযোদ্ধা আছেন। মুক্তিযোদ্ধাএবং বীরাঙ্গনা দের চোখের জল মুছে যাবে একাত্তরের ঘাতকদের বিচার নিশ্চিত করে ফাঁসি কার্যকর করলে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম চেয়ে আছি, কবে  আমাদের বাবাদের ওপর অত্যাচারকারী সেই ঘাতকদের বিচার হবে। একাত্তরের ঘাতকদের সহযোগীরা আজ প্রকাশ্য। সেদিন তাদের দিকে ঘৃণার থুথু ছিটাবে এদেশের সাধারণ  মানুষ।
তবে সবশেষে বিনীতভাবে বলতে হয়, একজন সফল রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে সফলতার পাশাপাশি ব্যর্থতার হিসেবটাও গুরুত্ব পেলেই এই সফলতা এগিয়ে নেবে এর শতগুণ বেশি সফলতার দিকে। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান বিচারপতি  হাবিবুর রহমান বলেছিলেন, বড়ো দুর্ভাগা এ দেশ। আমরা সেই দেশের দুর্ভাগা জনগণ। আমরা  আমজনতা ১৫ই আগস্ট, ২১ আগস্ট  এর পুনরাবৃত্তি সাধ্যমতো ঠেকাতে চাই। কারো পক্ষেই  আগামী এক বছরের মধ্যে সব রকমের সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়, আমরা জানি। তবে সমস্যা , সংকট এবং সীমাবদ্ধতা শনাক্ত করতে পারলেই অনেকটা কেটে যাবে হয়তো। সরকার এবং জনগণ কেউ কারো প্রতিপক্ষ নয়। বিরোধী দলের প্রতি সম্মান রেখে বলতে চাই, যে কোনো  দেশে শক্তিশালী বিরোধী দল অপরিহার্য। আমরা তাদের সেই দায়বদ্ধতার জায়গায় দেখতে চাই। আমার এ দীর্ঘ চিঠি যদি কারো ধৈর্যচ্যুতি ঘটিয়ে থাকে, আমি দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী। শুভকামনা রইলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী , আপনার সাফল্যের সহযোগী শক্তি মন্ত্রীপরিষদের প্রতিটি সদস্য এবং আমজনতার জন্যে। সবশেষে আবারো অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

সুমি খান
২৬/০৯/১২

বাংলাদেশ সময় ১৩৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১২
এমএমকে; জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর [email protected]

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।