ঢাকা, শনিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১ রবিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

পাহাড়ের কান্না

মাহবুব মিঠু, অতিথি লেখক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১২
পাহাড়ের কান্না

কয়েকদিনের টানটান উত্তেজনার পরে পাহাড়ে শান্তি ফিরে এসেছে। খবরটি জেনে সবারই ভাল লেগেছে।

সম্প্রীতির বন্ধন এবং সকলের এই ভাললাগাটা বেঁচে থাকুক পারস্পরিক বিশ্বাস এবং আস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।

২০০৬ সালে একটা দৈনিকে লিখেছিলাম, “পৃথিবীর অধিকাংশ রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের উৎপত্তি ‘আমরা’ এবং ‘ওরা’ এই দুটি পৃথকীকরণ পরিচয় থেকে। ভিন্ন ভাষা, নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য, ভৌগোলিক অবস্থান, বর্ণ এবং আরো নানাবিধ কারণের  উপরে ভিত্তি করে ‘আমরা’ এবং ‘ওরা’ শব্দ দু’টি, একদল মানুষের সঙ্গে অন্যদলের বিভাজন ঘটায়। বিভাজন শুধু পৃথক বসবাসের ইচ্ছার মধ্যেই সীমিত থাকে না। এর ফলে অনেক সময় যে মানসিক ব্যবধান তৈরি হয় তার দূরত্ব যোজন, যোজন। উদ্ভুদ এই ব্যবধান থেকে সৃষ্টি হয় বঞ্চনার ইতিহাস। এই বঞ্চনার ব্যাপ্তি ঘটে অর্থনৈতিক বণ্টনে, সংখ্যাগুরুর জোরপূর্বক শ্রেষ্ঠতায়, ভাষার আধিপত্যে, বৃহদাংশের সাংস্কৃতিক আগ্রাসনে। আর পরিসমাপ্তি ঘটে সংখ্যালঘুর আবেগের বিস্ফোরণে। ”

জীবনের নানা অভিজ্ঞতা থেকে নিজেকে সম্পৃক্ত করে বিষয়টাকে নিয়ে ভাবার চেষ্টা করেছি। হয়তো কিছুটা হলেও ধারণা পাওয়া যেতে পারে পাহাড়ি বাঙালিদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব এবং অবিশ্বাসের সম্পর্কের প্রকৃতি এবং মাত্রা।

আমি জাবির ভাসানী হলের চারতলার যে রুমটাতে ছিলাম সেখান থেকে টয়লেটে যেতে হলে মিন্টু এবং অপুর রুমের সামনে দিয়ে যেতে হোত। ওদের একজন খাগড়াছড়ি এবং আরেকজন রাঙামাটির ছেলে। প্রতিবার যাওয়া আসার পথে তীব্র গন্ধ নাকে এসে লাগত। ওদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে অনেকেরই অভিযোগ ছিল। সম্ভবত শুঁটকি কিংবা অন্য কিছু রান্না হোত। যার গন্ধ বহুদূর ছড়িয়ে পড়ত।

এরপরে অনেক বছর পার হয়েছে। সময়ের সঙ্গে নতুন অভিজ্ঞতা, নতুন উপলব্ধি যোগ হয়েছে। পাল্টে গেছে অনেক ধারণা বা বিশ্বাস। অভিবাসনের কারণে আমি নিজেই এখন সংখ্যালঘুর কাতারে। মাঝে মাঝেই অনুভব করি মানিয়ে চলার যন্ত্রণা এবং বঞ্চনার অভিজ্ঞতা। এখানে অনেকেই ঘটা করে মাঝে মধ্যে এশিয়ান ফুডের স্বাদ নিতে যায়। তাই বলে হররোজ মশলার গন্ধটা পছন্দ নয়। অফিসে দুপুরের খাবারে আমাদের মশলার গন্ধ কারো কারো বিরক্তির কারণ হয়ে দাড়ায়। কঠিনভাবে না বললেও কায়দা করে বলেও ফেলে সেটা। মনে পড়ে মিন্টু কিংবা অপুর কথা। সেই শুঁটকি মাছের গন্ধ! মিন্টুর পরিবেশে নিশ্চয়ই গন্ধটায় কেউ নাক সিঁটকায় না। ঠিক কতোবার যে ক্লাশ শেষ করে পেটের ক্ষুধাকে থামিয়ে রেখে ১ টাকা দিয়ে জাবির বাসে চেপে গুলিস্তানের ‘হোটেল নিরবে’ খেতে এসেছি, কোন হিসেব নেই। অথচ সেই খাবারগুলোর গন্ধ এখানে কিছু সংখ্যাগুরুর নাকের অবহেলায় নাকাল।

ক্যাম্পাসের খুব পরিচিত মুখ না হলেও একদম ঘরকুনোর বদনামও ছিল না। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বন্ধু ছিল। পরিচিতর সংখ্যা আরো বেশি। রাঙামাটিতে পাহাড়ি বাঙালি দ্বন্দ্বের পরে মনে করার চেষ্টা করলাম, আচ্ছা, ক্যাম্পাসে আমার কতোজন পাহাড়ি বন্ধু ছিল। ভাবতে লেগেছে অনেক্ষণ। কিন্তু গুণতে লেগেছে একহাত। অর্থাৎ গুণতে গিয়ে একহাতের আঙুলও সবগুলো ভাঁজ করতে হয়নি। শুধু আলোময় ছাড়া আর দু’একজনের সাথে হয়তো সখ্যতা ছিল।

আশেপাশে সব বাঙালি মুখ দেখতে দেখতে ওদের মুখ, ওদের ভাষা, ওদের আচরণ কেমন আলাদা লাগত। ওরাতো আমাদের প্রতিনিধি নয়, ওরা ভিন্ন। এই ভিন্নতাবোধ আমাদের দূরে ঠেলে রেখেছিল। ওদেরও দেখতাম নিজভূমে পরবাসীর মতো নিজেদের গুঁটিয়ে রাখতে। কেউ হয়তো ভাবতে পারেন, কাছাকাছি আসার দায়টাতো উভয় পক্ষের। ঠিক আছে যুক্তি। কিন্তু বাস্তবতা বলে, সংখ্যাগুরু প্রথমে এগিয়ে না এলে সম্পর্কটা স্থাপন হয় না। সে অর্থে দূরত্ব ঘোচানোর দায়িত্বটা সংখ্যাগুরুর।

এই যে দূরত্ব সৃষ্টি কিংবা বন্ধুত্ব সৃষ্টির মধ্যকার বাঁধাগুলো কি ছিল? সেই একই কারণেই কি কলেজের একজন পাহাড়ি এবং বাঙালির মধ্যকার কোন্দলটা দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে? প্রতিক্রিয়াটাতো ভিন্নভাবেও ঘটতে পারত। যেমন উভয়ের পক্ষে বন্ধুরা দুই দলে বিভক্ত হয়ে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে। উভয় পক্ষেই রয়েছে উভয়ের পাহাড়ী এবং বাঙালি বন্ধুরা। আমি সেটা কামনা করছি না। যে কোন প্রকারের সংঘাতই কাম্য নয়। শুধু প্রকৃতিটা বুঝানোর জন্য উদাহরণটা টেনেছি মাত্র। এক্ষেত্রে অন্তত বিষয়টা সম্প্রদায়গত হোত না। কিংবা ভালটা হতে পারত, উভয় সম্প্রদায়ের নেতারা এসে নিজেরাই বসে বিষয়টা মিটিয়ে ফেলেছে। সেই সঙ্গে নিজ নিজ সম্প্রদায়কে সতর্ক করে বলেছে, ভবিষ্যতে কেউ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা চালালে পার পাবে না। তেমনটি কিন্তু হয়নি।

মীমাংসাটা যেভাবে হয়েছে তাতে আপাত শান্তি প্রতিষ্ঠা হলেও ভবিষ্যতে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটার সম্ভাবনা আছে। এই ‘পুনরাবৃত্তি’ ঠেকাতে রাষ্ট্রের ভূমিকা প্রবল। সংঘাত, ভাঙচুর যেহেতু হয়েছে, সেখানে কেউ না কেউ জড়িত ছিল। তারা যে সম্প্রদায়েরই হোক না কেন সম্প্রদায়গত এই সম্মিলনের সঙ্গে সঙ্গে আইনকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দিতে হবে। ভিন্ন কিছু হলে শাস্তিবিহীন সামাজিক মিমাংসার সুযোগ নিবে উভয় সম্প্রদায়ের সুযোগ সন্ধানীরা। অপরাধ কখনো সম্প্রদায়গত কিংবা সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরুর বিচারে হয় না। অপরাধ বিবেচিত হবে আইনের দ্বারা। সেই আইন কিছুতেই সংখ্যাগুরুর দ্বারা প্রভাবিত কিংবা সংখ্যালঘুর প্রতি সহমর্মিতা দেখাতে পারবে না। যে কোন কারণে আইনের গতি ব্যহত হলে সেটা বুমেরাং হয়ে অপরাধ আবারো সমাজে ফিরে আসবে। সংখ্যালঘু হয়েছে বিধায় তার উপরে নির্যাতন চালিয়ে মীমাংসার নামে পার পেয়ে যাবে, সেটা অন্যায়। আবার সংখ্যাগুরুর মানবাধিকার মোটেও থাকবে না সেটা কিন্তু ভুল। আমাদের জাতীয় একটা দৈনিকে পাহাড়ের বিভিন্ন গোলযোগের উপরে যে তথ্য তুলে ধরা হয় সেখানে প্রায়ই দেখা যায় একই ঘটনায় নিহত আহত কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত বাঙালীদের কথা সঠিকভাবে তুলে ধরা হয় না। এই নিরবতাও কি মানবাধিকার লংঘন নয়? প্রশাসন যদি মিমাংশা এবং অপরাধকে আলাদা আলাদাভাবে বিবেচনা করে পরবর্তী উদ্যোগ নেবার পরিকল্পনা করে থাকেন, সেটা প্রশংসনীয় এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকরী হবে।

পাহাড়িদের সঙ্গে এই দ্বন্দ্ব এবং সংঘাতে অনেকে আধিপত্যবাদের গন্ধ যেমন পেয়েছেন, ঠিক তেমনি কেউ কেউ মনে করেন, সেখানকার কিছু পাহাড়ির বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন এর পেছনে অনেকাংশে দায়ী। কিছু ‘পেটজীবী’ এবং ‘নাম ব্যবসায়ী’ এনজিওরও নাকি অবদান আছে।

Philip Noyce  এর Rabbit-Proof Fence ছবিটি আমি নিজে দেখিনি। তবে কাহিনিটা শুনেছি। অস্ট্রিলিয়াতে একটা সময় আদিবাসী বাচ্চাদের সরকারি সহায়তায় ধরে নিয়ে ইউরোপীয় পরিবারে দত্তক দেওয়া হোত। তাদের কোনো রেকর্ড রাখা হোত না। কার শিশু কার কাছে গেল কোনো খোঁজ খবর ছিল না। আদিবাসীদের কালো রঙ সাদা করার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পুরো সম্প্রদায়কে ধ্বংস করার প্রচেষ্টা ছিল। ছবিটার কাহিনিটি সোশ্যাল ডারউইনিজমের দর্শনের উপরে ভিত্তি করে রচিত। যোগ্যতরের বেঁচে থাকার অবিরাম যুদ্ধে স্বভাবতই দুর্বলের মৃত্যু ঘটে। এভাবে বিভিন্ন সমাজে সংখ্যালঘুরা নানাভাবে নিস্পেষিত হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমি পাহাড়িদের যৌক্তিক কারণে আদিবাসী না বললেও বৃহত্তর বাঙ্গালি সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংখ্যাগতভাবে সংখ্যালঘু এবং সেই অর্থে তারা ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বা। তাদের এই সংখ্যালঘুত্ব ঘোচাতে শেখ মুজিব অস্ট্রেলিয়া আদিবাসীদের যেভাবে শিঁকড় থেকে তুলে এনে পুরো অস্তিত্বকে ধ্বংস করতে চেয়ে ছিলেন, কিছুটা ভিন্ন আদলে সেই কাজটিই করতে চেয়েছিলেন। তিনি আদিবাসীদের নিজস্ব পরিচয় বদলিয়ে ফেলে পুরোপুরি বাঙালি হতে বলেছিলেন। এরপরে জিয়া সেখানে বাঙালিদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে পাহাড়িদের ঐ নির্দিষ্ট এলাকায় সংখ্যালঘু করার চেষ্টায় ছিলেন। অনেকের ধারণা, এ দু’টো ঘটনার মাধ্যমে পাহাড়িদের সঙ্গে বাঙালিদের সম্পর্কে একটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়।

তবে এর বিরুদ্ধে মতের লোকের যুক্তিও ফেলে দেবার নয়। তারা মনে করেন, কিছু পাহাড়ির বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন নানাভাবে প্রভাব ফেলেছে বিভিন্ন ঘটনায়। তারই সূত্র ধরে বাঙ্গালিদের ওখানে পুনর্বাসন করা হয়েছিল বিদ্রোহ দমনের জন্য। দেশের অখণ্ডতার চেয়ে আর কোনো বিষয় অধিক গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে না। বিচ্ছিন্নতার আন্দোলন আগে শুরু হয়, পরে পাহাড়ে বাঙ্গালিদের পুনর্বাসন করা হয়েছে।

সেই সঙ্গে বর্তমানে কিছু এনজিওর সহায়তায় বিশ্ব মোড়লরা তাদের চাপিয়ে দেওয়া সংজ্ঞা এবং ব্যাখ্যার মাধ্যমে অবিরাম চেষ্টা চালাচ্ছে পুরো এশিয়া জুড়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বাগুলোকে ‘আদিবাসী’ নামের নতুন পরিচয়ে পরিচিত করাতে। আদিবাসী স্বীকৃতির মাধ্যমে এরা নানাভাবে উপকৃত হবে সেই ধারণা দিয়ে তাদের মধ্যে আশার সঞ্চার করা হয়েছে। অন্যদিকে, আদিবাসী দাবি মেনে নিলে সেখানকার বাঙালি অধিবাসীরা বঞ্চিত হবে সেই আশংকা থেকে বাঙালিরা নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় মরিয়া। এই দুই ‘মরিয়া’ পক্ষের স্বীকৃতি এবং অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধের একটা প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ প্রভাব থাকতে পারে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া দুই সম্প্রদায়ের মধ্যকার দ্বন্দ্বে। কিছু এনজিওর ‘আদিবাসী’ বিতর্কের মতো মৌলিক বিষয়ে রাষ্ট্রের বাইরে অবস্থান নেওয়া কতোটা যৌক্তিক নাকি তাদের কাজের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে, তার আইনগত দিকটা খতিয়ে দেখা দরকার। উপরের যে কারণই হোক, এ ধরনের সাম্প্রদায়িক সহিংসতা কখনো মেনে নেয়া যায় না।

বিগত সরকারগুলোর সবাই এই ইস্যুটি সমাধানের চেয়ে বরং সেটাকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ায় ব্যস্ত ছিল। যে কোনো নাগরিকের দেশের যে কোন স্থানে বসবাসের অধিকার আছে। কিন্তু কোনো ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বাকে হুমকির মধ্যে ফেলে নয়। যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রক্রিয়ায় পাহাড়ে বাঙালিদের সরকারি খাস জমিতে পুনর্বাসনের মাধ্যমে পাহাড়িদের ইচ্ছাকৃতভাবে সংখ্যালঘুতে পরিণত করার চেষ্টা হয়েছে সেটা অনৈতিক। যে কায়দায় তাদেরকে বাঙালি হতে বলা হয়েছিল, সেটা একটা জাতির প্রতি চরম অশ্রদ্ধা।

তবে এটাও ঠিক, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ওখান থেকে বাঙালিদের সরিয়ে আনাও সম্ভব নয়। এ রকম যে কোনো উদ্যোগ ভয়াবহ রাজনৈতিক গোলযোগের সৃষ্টি করবে এবং সেই সঙ্গে সৃষ্টি হবে আরেকটি মানবিক বিপর্যয়। অগণিত বাঙালি নতুন করে বাস্তুহারা হবে। নারী পুরুষ শিশু নির্বিশেষে অনেকেই ঘরবাড়ি হারিয়ে ভাসমান হয়ে পড়বে। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ব্যাপকভাবে নষ্ট হবে।

এই নতুন বাস্তবতায় উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন তৈরি করা ছাড়া বিকল্প খুব কমই আছে। এই সত্যটাকে মেনে নিয়ে পাহাড়ের কান্না থামাতে হবে। সেই সঙ্গে অবিরাম নিরাপত্ত্বার মাঝে বিকশিত হতে দিতে হবে পাহাড়িদের সংস্কৃতি।

লেখকের সঙ্গে যোগাযোগ: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১২
আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।