ঢাকা: ৬ নভেম্বর জনপ্রিয় অনলাইন সংবাদ মাধ্যম বাংলানিউজে ‘রংপুরে শিবিরের তাণ্ডব: পা ধরেও রেহাই পাননি ওসি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ৭ নভেম্বর ওই ঘটনায় আরেকটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
সংবাদের একজন সাধারণ পাঠক হিসেবে আমি হতবাক হয়েছি। বেশি আশ্চার্য হয়েছি যখন জানতে পারলাম যে, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের রংপুর জেলা প্রতিনিধি সাজ্জাদ বাপ্পী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। রংপুরের “আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান” সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি। আরো আবাক হলাম কোতোয়ালি থানায় দ্রুত বিচার আইনে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার এজাহারে বাংলানিউজের জেলা প্রতিনিধি সাজ্জাদ বাপ্পীকে ২১ নম্বর আসামি করায়।
গত মঙ্গলবার ৬ নভেম্বর রংপুর কী ঘটেছিল তা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কল্যাণে দেশের মানুষ দেখেছে। মঙ্গলবার ওসির করুণ দৃশ্য টেলিভিশনের পর্দায় দেখা গেছে। দেশবাসীও জেনেছে। ওই এলাকার বাংলানিউজের প্রতিনিধি প্রকৃত ঘটনাটি সঠিকভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছে। অন্য সংবাদ মাধ্যমগুলো এই ঘটনাটি প্রায় একইভাবে প্রকাশ করেছিল। তাহলে সাজ্জাদ বাপ্পী জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে একই মামলায় আসামী হতে যাবে কেন?
৬ নভেম্বর মঙ্গলবার বাংলানিউজে প্রথমে যে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে সে সংবাদের বিষয়ে যদি ওসি আলতাফ হোসেনের কোনো আপত্তি থাকে তাহলে এর জন্য তিনি নিয়ম অনুযায়ী আইনি সহায়তা নিতে পারেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ক্ষোভের কারণে একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে শিবির ক্যাডার বানানোর চেষ্টা কী আদৌ যৌক্তিক?
আমি বর্তমান সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে বলতে চাই, বিষয়টি আপনাদের নলেজে থাকা দরকার। ব্যক্তিগত আক্রশের কারণে এক একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে শিবির ক্যাডার বানানোর চেষ্টা করা হলে ওই দিনের ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো হালকা হয়ে পড়বে। কারণ সাংবাদিক সাজ্জাদ বাপ্পীকে স্থানীয় সংবাদকর্মী ও বিভিন্ন পেশার লোকেরা ভালোভাবে চিনেন ও জানেন।
লেখক: প্রধান প্রতিবেদক, সাপ্তাহিক দেশসময়
[email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১২
আরআর