ঢাকা, বুধবার, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২২ মে ২০২৪, ১৩ জিলকদ ১৪৪৫

মুক্তমত

ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গোলাম আযম প্রীতি

শাহরিয়ার আহম্মেদ অক্ষর, দুবাই থেকে | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১১
ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গোলাম আযম প্রীতি

হটাৎ করেই গত কয়েকদিন ধরে গোলাম আযমকে নিয়ে মিডিয়া কি পরিমান বাণিজ্যই না করলো। বিজ্ঞাপন সংবাদ বিনোদনধর্মী অনুষ্ঠান সব ছাপিয়ে গোলাম আযমের ইন্টারভিউ কে সমগ্র মিডিয়ার যে মাতামাতি দেখলাম তাতে মনে হলো পয়সার জন্য মিডিয়া যে কোন কিছু করতে পারে।

যে গোলাম আযম স্বাধীন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়ে সারাটি জীবন অবস্থান নিলেন তাকে নিয়ে এত হইচই আমাকে ভাবিয়ে তুলল, তাই লিখতে বসলাম।

পাঠক তথা আমরা যারা আমজনতা গোলাম আযমের ইন্টারভিউ দেখার জন্য মুখিয়ে ছিলাম বাংলাভিশনের পর্দায়, ভেবেছিলাম গো আযম হয়তো নতুন কিছু বলবেন কিন্তু সেই পুরনো কথা `নতুন বোতলে পুরনো মদ’। ৫২টি অভিযোগ যেখানে গো আযমের বিরুদ্ধে উথাপিত হয়েছে সেখানে উনি অবলীলায় বলে গেলেন মিথ্যা অপবাদ একটিও প্রমাণ করতে পারবে না।  

প্রশ্নকর্তাদের কচলাকচলি দেখে মনে হয় ওই সময়ের জন্য ওনারা যেন গোলাম আযমের শীষ্যত্ব গ্রহণ করেছিলেন। তা আমার তথা আমজনতাদের বোধে আসে না এত কিছুর পরে ও গো আযম সাহেব এত সাহস এত দম্ভ কিভাবে প্রকাশ করেন।

যে ব্যক্তি স্বাধীনতার বিরোধীতা করেও ক্ষান্ত হন নি, দেশ স্বাধীণ হবার পরে ও পূর্ব পাকিস্তান পূর্ন জন্ম দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন বলে ও শোনা যায়। লম্বা দাড়ি আর টুপি দেখে মনে হয় বিশাল এক আলেম আসলে ওনার এই চেহারার মধ্যে বাস করছে এক হায়না যেখানে ওনার পাকিস্তানে প্রেতাত্মারা আজ ও ঘুরে বেড়ায়।

আবার বললেন, পাকিস্তান সরকার কে উনি অনুরোধ করেছিলেন সাধারন জনতাদের উপর এ্যাটাক না করতে তাহলে ওনার নির্দেশে আমাদের বুদ্ধিজীবিদের হত্যা করা হলো কেন। মাদ্রাসা শিক্ষার জন্য ওনাদের কি যে প্রীতি তাতো মাঠ গরম ছাড়া আর কিছুই নয়। পাঠক তথা আমজনতা আপনারা যেনে থাকবেন গো আযমের কোন সন্তান মাদ্রাসা শিক্ষার ধারে কাছেও যান নি। সকলকে উনি যাদেরকে ইহুদি নাসারাদের দেশ বলে গালি দেন সেই দেশ তথা যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য থেকে ডিগ্রি করিয়েছেন। আমজনতা সাধারণ পাঠক হিসেবে এখন আমার মনে হচ্ছে এই ট্রাইবুন্যাল কি ওনাদের বিচারের জন্য তৈরী করা হয়েছে না কি ওনার নাগরিকত্ব ফেরতের মতো ওনাদের সাদা ইমেজ তৈরির জন্য আরেকটি ট্রাইব্যুনাল করা হয়েছে? আপনাদের কাছে এ প্রশ্ন রইলো।

আরো একটি বিষয় আমার বুঝে আসে না, এখনো কেন গোলাম আযম কারাগারে যায় নি। ওনার খুটির জোর কোথায়। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সংগ্রাম পত্রিকাই তো ওনাকে ফাসির কাষ্ঠে নিয়ে যেতে পারে তো আর দেরী কিসের? ধরুন ওনাকে, পাঠিয়ে দিন ফাসির কাষ্ঠে।

আবারো ভয় হয় আইনের ফাঁক গলিয়ে যেন বেড়িয়ে না যেতে পারে সে ব্যাপারে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে।
 
শাহরিয়ার আহম্মেদ অক্ষর
দুবাই- আরব আমীরাত
ইমেইল- [email protected]

বাংলাদেশ সময় ১৪০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।