ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

মুক্তমত

শেখ হাসিনার নেতৃত্ব অনন্য

তপন চক্রবর্তী, ডেপুটি এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৪ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২২
শেখ হাসিনার নেতৃত্ব অনন্য ...

দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে ভালোবাসা, তা অনন্য। চার দশক আগে যদি তিনি আওয়ামী লীগের হাল না ধরতেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী না হতেন, তাহলে আজ এ উন্নতি, এ অগ্রগতি হতো সুদূরপরাহত।

দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত হতো না। গণতন্ত্র থাকতো না। বিচার হতো না বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের। যুদ্ধাপরাধীদেরও বিচারও দেখতো না বাংলার মানুষ। বঙ্গবন্ধুকন্যা রাজনীতিতে না এলে স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালন করতে পারতো না। দেড় লাখ গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবার পেতো না মাথা গুঁজার ঠাঁই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে সেই কলঙ্কমুক্ত করেছেন। দেশকে বিশ্বের বুকে করেছেন মর্যাদাবান। দেশের এমন কোনও ক্ষেত্র নেই যেখানে তিনি উন্নয়ন করেননি। মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলার। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, খাদ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগসহ সবক্ষেত্রে হয়েছে আশাতীত উন্নয়ন। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে তিনি বিশ্বব্যাপী পেয়েছেন ‘মাদার অব হিউমিনিটি’ উপাধি। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

আমাদের সৌভাগ্য, শেখ হাসিনার মতো একজন যোগ্য নেত্রী পেয়েছি, নেতৃত্ব পেয়েছি। মাত্র ৩৪ বছর বয়সে তিনি আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। জনগণকে দেওয়া নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণে ৪১ বছর ধরে প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর রাজনৈতিক জীবনের এই দীর্ঘ পথচলায় পদে পদে বিপদ এবং মৃত্যুঝুঁকি তাড়া করেছে। ২১ বার তাঁকে হত্যাচেষ্টা হয়েছে। তিনি শুধু আওয়ামী লীগেরই সভানেত্রী নন, সরকার প্রধান হিসেবেও রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। টানা তিনবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। এই মেয়াদ শেষ হলে তাঁর প্রধানমন্ত্রীত্বের ২০ বছর পূর্ণ হবে।

উন্নত ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা ডেল্টাপ্ল্যান ২১০০ ঘোষণা করেছেন। তাঁর হাত ধরে পাহাড়ে শান্তিচুক্তি, ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানিচুক্তি, সিটমহল সমাধান হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের বিরোধপূর্ণ সাড়ে ২৫ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকার মধ্যে প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা বাংলাদেশকে দিয়ে ভারতের সঙ্গে নতুন সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালত। জাতির পিতার কন্যার হাত ধরে ছাত্র রাজনীতি ও জাতীয় রাজনীতিতে এসেছে গুণগত পরিবর্তন।

তাঁর উদ্যোগে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালু হওয়ার পর ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ বিগত তিন বছরে মোট আয় ৩০০ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। বর্তমানে কোম্পানির মাসিক আয় প্রায় ১০ কোটি টাকা, যার প্রায় পুরোটাই দেশিয় বাজার থেকে অর্জিত হচ্ছে। সমাজের সবচেয়ে অবহেলিত হতদরিদ্র, অসহায়, বয়স্ক নারী-পুরুষ, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, প্রতিবন্ধীরা মাসিক ভাতা পাচ্ছেন। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু টানেল, মেট্রোরেল, গভীর সমুদ্রবন্দর প্রভৃতি বড় প্রকল্পের বাস্তবায়নই বলে দিচ্ছে-শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে চলেছে।

শেখ হাসিনা জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী অর্থনৈতিক বিকাশ ত্বরান্বিত করেছেন, সংকট উত্তরণে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন। তাই তিনি হয়ে উঠেছেন বিশ্বনেতা, শান্তির অগ্রদূত। তাঁর নেতৃত্বে বিশ্বসভায় বাংলাদেশ লাভ করেছে মর্যাদার আসন।

বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২২
টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad