ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অন্যান্য দল

বিএনপি-খালেদাকে বর্জনের আহ্বান ইনুর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০২ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৬
বিএনপি-খালেদাকে বর্জনের আহ্বান ইনুর

সিলেট: জঙ্গিবাদ উৎপাদনের কারখানা বিএনপি ও খালেদাকে রাজনীতির ময়দান থেকে বর্জন করার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যত কি? তা নির্ভর করছে জঙ্গিবাদের পাহারাদার খালেদার ওপর।

বাংলাদেশের ভবিষ্যত ঠিক করতে হলে খালেদা জিয়ার ভবিষ্যত ঠিক করতে হবে। তাকে রাজনীতির ময়দান থেকে বর্জন করতে হবে।

যদি বিএনপিকে বর্জন করতে পারেন, তবে দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে, যেমনটি ৭১ সালে পাকিস্তানকে বর্জন করা হয়েছিলো। ওই সময় যারা পাকিস্তানকে বর্জন করতে পারেনি তারাই রাজাকার হয়েছে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

বুধবার (১৮ মে) বিকেল ৩টায় সিলেট জেলা জাসদ আয়োজিত কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাসদ জাতির প্রয়োজনে ঐক্য করে। জাতির প্রয়োজনে সমস্যা মোকাবেলা করে। জাসদ সমাজতন্ত্র, ধনী, গরীব ও মুক্তিযোদ্ধার দল। আমরা ঐক্যের পতাকা হাতে জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করে সমাজতন্ত্রের পথে হাঁটছি। খালেদা জিয়ার মোকাবেলায় জাসদ সব সময় অগ্রভাগে থাকবে।

বাংলাদেশের ভবিষ্যতের সঙ্গে জাসদ জড়িয়ে আছে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আফগানিস্তান, পাকিস্তানের পথে হাঁটবে কি না এটা নির্ধারণ করবে এ দেশের জনগণ। এ মুহূর্তে বাংলাদেশ জঙ্গিবাদের উত্থান, দুর্নীতি-দলবাজি, বৈষম্যের লজ্জায় জর্জরিত। দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যেতে হলে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, বৈষম্য অবসানে ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে ইনু বলেন, ‘যে নেত্রী যুদ্ধপরাধীদের ছাড় দেয় না, সেই নেত্রী দুর্নীতি, দলবাজির জন্য দলের নেতাকর্মীদেরও ছাড় দেবে না। অতএব, হুঁশিয়ার।

হাসানুল হক ইনু বলেন, চল্লিশ বছর পর যদি যুদ্ধাপরাধের বিচারে সাকা-নিজামীর ফাঁসি হয়, তাহলে প্রত্যেকটা মানুষ পোড়ানোর ঘটনায় খালেদা জিয়াকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। মেয়ে মানুষ বলে সাত খুন মাফ! তা হয় না। পুরুষ হও আর নারী হও, খুন করলে ফাঁসির রশিতে ঝুলতে হবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, যতদিন জামায়াতের সঙ্গে, তেঁতুল হুজুরদের সঙ্গে খালেদার বন্ধুত্ব থাকবে, ততদিন প্রত্যেকটা গুপ্ত হত্যার জন্য খালেদা সন্দেহের তালিকায় আসামি হবেন। যারা মনে করেন খালেদাকে গ্রেফতার করা হবে না, তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন।

জঙ্গিবাদের জন্য জাসদের কোনো মায়া-মমতা নেই মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাসদ কখনোই জঙ্গিবাদের সঙ্গে আপোস করবে না। যেমনটি করেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বহির্বিশ্বের চাপেও যুদ্ধাপরাধের বিচার থেকে পিছু হটেননি তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা বলেই বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বাংলাদেশকে বের করা সম্ভব হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে।

জাসদ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জাসদের ঐক্য ১৯৮০ সালে ভেঙে গিয়েছিলো। এখন জাসদ ঐক্যবদ্ধ। বাংলার মানুষ বলে- ‘জাসদ ক্ষমতায় থাকলেও চুরি-চামারি করে না। যে কারণে দলের কর্মীরাও সম্মানে আছেন। হালুয়া রুটির ভাগ পাননি বলে দুঃখ করার কিছু নেই।

সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাসদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চুন্নু, উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মুক্তিযোদ্ধা সার্জেন্ট (অব.) রফিকুল হক বীর প্রতীক, ঢাকা উত্তর জাসদের সভাপতি শফিউদ্দিন মোল্লা, মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল হক, সদস্য শামীম আখতার, সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আ, ত, ম সালেহ।

সিলেট জেলা জাসদের সভাপতি লোকমান আহমদ সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক কে এম কিবরিয়ার পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক এনামুজ্জামান চৌধুরী, সহ সভাপতি মজির উদ্দিন মাস্টার, মহানগর জাসদের সহ-সভাপতি মিশফাক আহমদ চৌধুরী, কুলাউড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাসদ নেত্রী নেহার বেগম প্রমুখ।

এর আগে বুধবার (১৮ মে) সকালে তথ্যমন্ত্রী সিলেটে পৌছানোর পর শাহজালালের (র.) মাজার জিয়ারত করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৬
এনইউ/ওএইচ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অন্যান্য দল এর সর্বশেষ