শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় শাহবাগ জাদুঘরের সামনে অক্টোবর বিপ্লব শতবর্ষের উদ্বোধনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
অক্টোবর বিপ্লব শতবর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক ও অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এবং সমন্বয়ক কমরেড হায়দার আকবার খান রনো উদ্বোধনী সমাবেশে প্রগতিশীল রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
১৯১৭ সালের অক্টোবর বিপ্লব সভ্যতার ইতিহাসে এক অসামান্য ঘটনা। অক্টোবর বিপ্লবের অনেকগুলো তাৎপর্যের মধ্যে রয়েছে এর আন্তর্জাতিকতা, সম্পদের পুঁজিবাদী মালিকানার জায়গাতে সামাজিক মালিকানা প্রতিষ্ঠা এবং মুনাফার লোলুপ পৃথিবীতে আত্মকেন্দ্রিকতাকে হটিয়ে মনুষ্যত্বের সহমর্মিতার ও সহযোগিতার জগৎ প্রতিষ্ঠা এবং বৈজ্ঞানিকতা।
এই বিপ্লব দেখিয়েছে, মালিকানা যদি ব্যক্তিগত থাকে তাহলে সকল উদ্ভাবন ও উন্নয়ন চলে যায় কতিপয় ব্যক্তির হাতে, যারা জ্ঞান ও বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে শোষণ ও লুণ্ঠনের কাজে, মুনাফার নির্লজ্জ স্বার্থে। পুঁজির মালিকেরা মানুষ ও প্রকৃতি উভয়ের সঙ্গে শত্রুতা করে। তারা যুদ্ধ বাধায়, মারণাস্ত্রের উন্নয়নে বিজ্ঞানী ও বৈজ্ঞানিক জ্ঞানকে ব্যবহার করে দাসানুদাস হিসেবে, ব্যবসা করে অস্ত্রের ও মাদকের।
পুঁজিবাদের কঠিন কুঠারাঘাতে প্রকৃতি আজ বিপন্ন হয়ে পড়েছে। প্রকৃতিকে বিরূপ করার জন্য দায়ী পুঁজিবাদী বিশ্বের বিলাস ও ভোগবাদিতা, এর ভুক্তভোগী বিশ্বের গরিব মানুষ। প্রাচুর্যের ভেতর দারিদ্র্য পুঁজিবাদেরই অনিবার্য ফসল। পুঁজিবাদীরা বর্তমানকেই সবকিছু মনে করে, ইতিহাস-ঐতিহ্যকে মূল্য দেয় না, ধারণা করে ভবিষ্যৎ হবে তাদের বর্তমান আধিপত্যেরই রঙিন সম্প্রসারণ। পুঁজিবাদীদের হাতে পৃথিবী আজ আক্ষরিক অর্থেই বিপদগ্রস্ত। ১৯১৭ সালের সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব চেয়েছিল পুঁজিবাদের ক্রমবর্ধমান দুঃসহ দৌরাত্ম্যকে প্রতিহত করে একটি মানবিক বিশ্ব গড়ে তুলতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৭
এমজেএফ