শনিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে শাখা ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি রুহল আমিন এবং সাধারণ সম্পাদক রুনিয়া সুলতানার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গত ২৬ এপ্রিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৭তম সিন্ডিকেট সভায় প্রকাশনা জালিয়াতির অভিযোগে জবির ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন আহমেদকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, ‘নাসির স্যারের বিরুদ্ধে বিচারের প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ, তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনেরও পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পোস্টে দেখা যায়, নাসির স্যারকে যে প্রকাশনা জালিয়াতির জন্য শাস্তি দেওয়া হয়েছে, বাস্তবে তা প্রকাশিতই হয়নি এবং সেটা উনার লেখাও ছিল না। ’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ইতিপূর্বে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যানসহ অনেক শিক্ষকের বিরুদ্ধেই প্রকাশনা জালিয়াতির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে নাসির স্যারের বিরুদ্ধে এমন বিতর্কিত এবং তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত কেন? তবে কি শিক্ষার্থীদের পক্ষে সোচ্চার থাকার জন্যই এই শাস্তি?’
নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে তিরস্কারের বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নারী নিপীড়নের অভিযোগে একজন শিক্ষক তিরস্কৃত কেন হবেন? এটা কি ধরনের শাস্তি? হয় তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হবেন অথবা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাবেন। এই ধরনের নখদন্তহীন সিদ্ধান্ত দ্রুত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানাই, কোনো প্রকার ষড়যন্ত্র জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মেনে নেবে না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৮
কেডি/এইচএ/