ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অন্যান্য দল

জাতীয় সরকার চাইলেন বি. চৌধুরী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৪ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৮
জাতীয় সরকার চাইলেন বি. চৌধুরী ইফতার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ‘সত্যিকারের ভাল’ জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার দাবি করে বিকল্প ধারার সভাপতি সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচনের পরে, দেশের মানুষকে শান্তি-নিরপত্তা এবং দেশের অগ্রগতি নিশ্চিত করতে আগামী ৫ বছরের জন্য একটি জাতীয় সরকার চাই।

মঙ্গলবার (২৯ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে অল কমিউনিটি ক্লাবে বিকল্প ধারা বাংলাদেশ আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।

বি. চৌধুরী বলেন, সবচেয়ে বড় সাংঘাতিক যেটা হয়, আমরা ভয়ে আছি।

সারা পৃথিবীতে যেটা হয়, নির্বাচনোত্তর যে সহিংসতা হবে, ভোটার-রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের বাড়িতে আগুন জ্বলবে। এটা হতে দেওয়া যাবে না। বন্ধ করতে হবে। সমাধান কী। সমাধান একটা আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

নির্বাচনের পরে সহিংসতা হবে না, আগুন জ্বালানো হবে না, অন্যায় অত্যাচার হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা দেশের নিরাপত্তা দিতে পারবো, অগ্রগতি করতে পারবো এবং ঝগড়া বিবাদ কমে যাবে। যদি নির্বাচনের পরে ৫ বছরে জন্য একটা জাতীয় সরকার গঠন করা হয়। এ ব্যাপারে আমি সমস্ত রাজনৈতিক দলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আমি আশা করি সবাই এটা বিবেচনা করবেন।

সাবেক এ রাষ্ট্রপতি বলেন, সত্যিকারের ভাল জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে, আমরা আদায় করবো। যদি দিতে না চান, জনগণ এটা আদায় করবে। নির্বাচনের ১০০ দিন আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। তার কারণ সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রীরা সরকারি প্রভাব খাটাবে, আর আমরা নির্বাচনের তামাশা দেখবো, এটা জনগণ দেখতে রাজি নয়। ভোটারকে নিরাপত্তা দিতে হবে। সামরিক বাহিনী ব্যবহার করতে হবে। এটা আমাদের সামরিক বাহিনী, বিদেশের নয়। তারাও এদেশের নাগরিক, তারাও এদেশের ভোটার। তাদের মা-বোনেরাও ভোটার। তাই তাদেরকে নিশ্চয়ই ব্যবহার করতে হবে। আর মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশন (ইসি) হলে চলবে না, একটা সাহসী নিরপেক্ষ ইসি আমাদের আনতেই হবে। সেই ব্যবস্থা আমরা করবো।

কারাবন্দি বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়ার রায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, যখনই বিচার হয়, বিচারের রায় আসে, সুপ্রিম কোর্ট-হাইকোর্টের রায়কে আপনারা বুড়ো আঙ্গুল দেখান। এর চেয়ে লজ্জার বিষয় আর কিছু হতে পারে না। দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের জন্যে এটা চরম লজ্জার কথা।

ইফতার মাহফিলে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্যে কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, বিকল্প ধারার মহাসচিব মেজর অব. এম এ মান্নান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এমএম আমিনুর রহমান, বিজেপির মহাসচিব আব্দুল মতিন সাউদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৮
এমএইচ/এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অন্যান্য দল এর সর্বশেষ