তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা যেমন গণতান্ত্রিক অধিকার আবার অংশগ্রহণ না করাও একইরকম অধিকার। কিন্তু আমাদের দেশের নির্বাচনী আইন অনুযায়ী একটি দল পরপর দুইবার জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে।
অন্যদিকে ২০১৫ সালের পর থেকে যেহেতু স্থানীয় নির্বাচনও দলীয় অংশগ্রহণের ভিত্তিতে হচ্ছে ফলে নিবন্ধন হারিয়ে ফেললে ৫ বছর দলীয়ভাবে স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা যাবে না। এ আইন চরম স্বেচ্ছাচারী। এই নিবন্ধন আইন দিয়ে সাংবিধানিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে, বলেন জোনায়েদ সাকি।
বৃহস্পতিবার (৫ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। সমাবেশ শেষে গণসংহতির একটি প্রতিনিধি দল নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত পুনঃনিরীক্ষার দাবিতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি দেয়।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন দলটির নির্বাহী সমন্বয়কারী (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখতার, ফিরোজ আহমেদ এবং সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভুঁইয়া, আবু বকর রিপন, জুলহাসনাইন বাবুসহ অন্যান্যরা।
সমাবেশে আবুল হাসান রুবেল বলেন, রাজনীতি করা বা সংগঠিত হওয়ার অধিকার ও নির্দিষ্ট মত ও আদর্শের চর্চা করা নাগরিকের সংবিধান সংরক্ষিত অধিকার। সরকার আইন করে এবং নির্বাচন কমিশন আমলাতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সে অধিকারের রাশ টেনে ধরতে চাইছে। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমরা কোনভাবেই তা মেনে নিতে পারি না।
তাসলিমা আখতার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য শতকরা ১ ভাগ ভোটারের আগাম সমর্থন জমা দিতে হবে কেন? রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রার্থী মুরাদ মোরশেদকে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করতে হচ্ছে। তাকে যারা আগাম সমর্থন দিয়েছেন তাদের অনেকের বাড়িতে ভোর বেলা পুলিশ দিয়ে ভেরিফিকেশনের নামে ভয় দেখানো হয়েছে এবং আমাদের প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের চেষ্টা করা হয়েছে। ফলে এই অগণতান্ত্রিক পদ্ধতি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৮
এমজেএফ