সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্বনাথ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুলতান আহমদ বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামসুদ্দোহা।
তিনি জানান, গ্রেফতার জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে সিলেটের বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। সেগুলোও খতিয়ে দেখাা হচ্ছে।
এরআগে রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা দেওকলস ইউনিয়নের গন্ধারকাপন গ্রামে মাস্টার ইমাদ উদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে আটটি জিহাদি বই উদ্ধার ও সাতটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
আটক জামায়াত নেতারা হলেন- সিলেট জেলা দক্ষিণ জামায়াতের সেক্রেটারি ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা লোকমান, বিশ্বনাথ উপজেলা জামায়াতের আমির মো. আব্দুল কাইয়ুম, সেক্রেটারি মো. মতিউর রহমান, নায়েবে আমির মাস্টার ইমাদ উদ্দিন, উপজেলার সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল মুকসিদ, উপজেলার উলামা বিভাগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন, কর্মপরিষদ সদস্য আক্তার ফারুক, উপজেলার অলঙ্কারী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির জাহেদুর রহমান, সেক্রেটারি কামাল আহমদ, দৌলতপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি বাবুল মিয়া, সেক্রেটারি তালেব আহমদ গোলাপ, লামাকাজি ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি নুরুল ইসলাম, সদস্য আব্দুস শহীদ, রামপাশা ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি আব্দুন নুর, সেক্রেটারি রজব আলী, বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি এখলাসুর রহমান ও খাজাঞ্চি ইউনিয়ন সভাপতি আব্দুল মালেক।
অারও পড়ুন>>> গোপন বৈঠক থেকে ১৭ জামায়াত নেতা আটক
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৮
এনইউ/ওএইচ/