মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) রাতে সিলেট নগরীর উপশহর পয়েন্টে অবস্থিত হোটেল রোজভিউর সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে এ নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন আলী হোসাইন।
সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, ডাকসুর সাবেক ভিপি এবং সাবেক সংসদ সদস্য। সিলেটের রেজিস্ট্রি বুধবার ঐক্যফ্রন্টের যে সমাবেশ ডাকা হয়েছে, এর সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন সুলতান মনসুর।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হোটেল রোজভিউর সামনে ঐক্যফ্রন্টের আরেক নেতা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহানসহ কয়েকজনের সঙ্গে অবস্থান করছিলেন সুলতান মনসুর। এমন সময় হঠাৎ আলী হোসাইনের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক সুলতান মনসুরের গায়ে পরিহিত মুজিব কোর্ট খুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে আশপাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা তখন ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় এ দুই নেতাকে সরিয়ে নেন।
ছাত্রলীগের একটি সূত্র জানায, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ২০১৭ সালের ২২ জানুয়ারি সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় আলী হোসাইনকে। বিভিন্ন অপরাধে কারাভোগও করতে হয়েছে তাকে।
তবে মঙ্গলবার রাতের ঘটনার পর আলী হোসাইন তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘কারও প্ররোচনায় নয় আমি আমার আর্দশিক পিতার মুজিব কোর্ট পরে আসা বেঈমান সুলতান মনসুরে গায়ে থেকে মুজিব কোর্ট খুলেছি। ’ ‘আমি আমার কথা রেখেছি, সিলেটে এসেছিলাম বেঈমান সুলতান যেন আমার আর্দশিক পিতার মুজিব কোর্ট তার গায়ে থেকে খোলার জন্য। …আমি করেছি। এখন চলে যাচ্ছি আশ্রয়স্থল ঢাকায়। খোদা হাফেজ। ’
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৮
এনইউ/এইচএমএস/এইচএ/