এদিকে ৬টি আসনের মধ্যে বিভাগের পিরোজপুরের একটি ও পটুয়াখালীর একটি আসন দিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল মহানগর জামায়াতের নেতারা।
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী বরিশাল মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি ও ছাত্রশিবিরের সাবেক কার্যকরী পরিষদ সদস্য জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, বরিশাল-৪ (মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা) আসনে পূর্ব জেলা জামায়াতের মজলিসে শূরা সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল হাসেম, বরিশাল-৫ (সদর) আসনে মহানগরের আমির ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট মুয়ায্যম হোসাইন হেলাল।
পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে রয়েছেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
এছাড়া পিরোজপুর-১ আসনে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মেজ ছেলে শামীম সাঈদী ও পিরোজপুর-০২ আসনে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সেজ ছেলে মাসুদ সাঈদীকে প্রার্থী করার লক্ষ্য নিয়ে তৎপরতা চালাচ্ছে জামায়াত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম খসরু বলেন, ২০ দল জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নিলে বরিশাল বিভাগের মধ্যে ৬টি আসনে জামায়াতের প্রবল দাবি থাকবে। এর মধ্যে ২টি আসনের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে সকল সিদ্ধান্ত কেন্দ্র নেবে। এক্ষেত্রে কেন্দ্র থেকে যে সিদ্ধান্ত হবে তা মেনে নেওয়া হবে।
এদিকে দলটির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিগত দিন থেকেই বরিশাল অঞ্চলে জামায়াতের অবস্থান তেমন একটা ভালো না থাকলেও পিরোজপুর-১ আসনে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী নির্বাচিত হন। তবে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী যুদ্ধাপরাধের মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে অন্তরীণ থাকায় তার মেজ ছেলে শামীম সাঈদীকে এবার পিরোজপুর-১ আসনে প্রার্থী করার লক্ষ্য নিয়ে তৎপরতা চালাচ্ছে জামায়াত।
অন্যদিকে পিরোজপুর-২ আসনে প্রার্থী করার কথা রয়েছে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সেজ ছেলে মাসুদ সাঈদীকে। যদিও তিনি বর্তমানে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী (জিয়ানগর) উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৮
এমএস/এমজেএফ