তিনি পুলিশের ভুমিকা তুলে ধরে বলেন, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অবশ্যই পুলিশের ভুমিকা রয়েছে। সবাই চায় পুলিশ তার আইন মেনে দায়িত্ব পালন করুক।
রোববার (০৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আরামবাগে গণফোরাম কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফউদ্দিন আহমেদ মানিকের স্মরণসভায় তিনি একথা বলেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, সরকার যদি নিজেকে জনগণের সরকার মনে করেন অবশ্যই বৈষম্য হ্রাস করবেন। কেউ দরিদ্র থাকবে আর কেউ সম্পদের পাহাড় গড়বে- এটা তো স্বাধীনতার এতো বছর পর কাম্য হতে পারে না। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হলে আমরা সফল হব।
নির্বাচন প্রসঙ্গে ড. কামাল হোসেন বলেন, নির্বাচনে গলদ থাকলে সেখানে অবশ্যই একটা বির্তক থাকে। জনগণ আশা করে এখানে যে সরকার আছে সে সংবিধানের ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করবে। জনগণ রাষ্ট্রের মালিক। সংবিধানে যে কথাগুলো আছে। এখানে যারা আমাদের দেশ শাসন করবে তারা নির্বাচিত হতে হবে। তাদেরেই কিন্তু দেশের মালিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
সবাইকে নাগরিক হিসেবে দাযিত্ব পালনের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ২০২১ সালে আমাদের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তি হতে যাচ্ছে। এজন্য সবাইকে নাগরিক দায়িত্ব পালন করে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করার কাজে লেগে যেতে হবে।
ড. কামাল হোসেন আরো বলেন, আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি অসাধারণ ত্যাগ স্বীকার করে। অনেক মূল্য দিয়েছি। নাগরিকদের সতর্কভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। যে সরকার বা যারাই এখানে দাযিত্ব নেবে তারা যেন সংবিধানের ভিত্তিতে দায়িত্ব নেয়। সংবিধানে আছে দেশে কার্যকর গণতন্ত্র থাকবে। নামকাওয়াস্তে গণতন্ত্র না।
ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় গণফোরাম নেতাদের মধ্যে অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, মফিজুল ইসলাম খান কামাল, মোকাব্বির খান, জগলুল হায়দার আফ্রিক, আ.ও. মশফিক উল্লাহ, সাইদুর রহমান সাইদ, মোশতাক আহমদ, খান সিদ্দিকুর রহমান, সাইদুর রহমান সাইদ রফিকুল ইসলাম পথিক, মিজানুর রহমান মিজান, অ্যাডভোকেট মো. জানে আলম, মুহম্মদ রওশন ইয়াজদানী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে সকাল ৮টায় মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সাইফুদ্দিন মানিকের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় গণফোরাম নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৯
এমএইচ/এসএইচ