এসময় স্বাধীন দেশ হিসাবে বাংলাদেশ এ হামলার প্রতিবাদ না জানানোয় সরকারের পররাষ্ট্র নীতিরও তীব্র সমালোচনা করেন তারা।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন রকেট হামলা এবং ইরানি সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলেমানিসহ আটজন সামরিক কর্মকর্তা হত্যার প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা জানানো হয়।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল প্রেসক্লাব, তোপখানা রোড, পল্টন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
সমাবেশে নেতারা বলেন, মধ্যপ্রাচ্যসহ গোটা দুনিয়াব্যাপী যুদ্ধবাজ মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব লংঘন করে মিথ্যা অভিযোগ এনে একের পর এক হামলা ও হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করছে। মধ্যপ্রাচ্যে তেল সম্পদের ওপর মার্কিন নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বাধা প্রদানে ইসরাইলি ইহুদিবাদী আগ্রাসনে পৃষ্ঠপোষকতা দান ও সৌদি রাজতন্ত্রকে নিরাপদ রাখতে উগ্র ধর্মীয় সংগঠন আইএসকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই ঘৃণ্য বোমা হামলা করেছে।
তারা আরও বলেন, নিজ দেশে ট্রাম্প যখন অভিসংশিত এবং আসন্ন নির্বাচনে পুনঃনির্বাচিত হতে হুমকির সম্মুখীন। সেসময় নিজের ক্ষমতাকে নিশ্চিত করতে হীন রাজনৈতিক স্বার্থেই ইরাকে এই হামলা করা হয়েছে।
নেতাদের প্রতিটি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এবং মধ্যপ্রাচ্যসহ দুনিয়াব্যাপী মার্কিন আগ্রাসন ও দস্যুতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশসহ প্রতিটি দেশে সংগ্রামী জনতাকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাম গণতন্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাসদের (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক মুবিনুল হায়দার চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকনমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, ইউসিএলবির নজরুল ইসলাম, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহীদুল আলম সবুজ। সভা পরিচালনা করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য আকবর খান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২০
জিসিজি/এএটি