শুক্রবার (৮ মে) পার্টির পলিটব্যুরোর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, কোন বিশেষজ্ঞ মতামতের ভিত্তিতে লকডাউন ক্রমান্বয়ে শিথিল করে শপিং মল, দোকানপাট খোলার মধ্য দিয়ে সবকিছু প্রায় উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে তা দেশবাসীকে জানাতে হবে।
‘দেশের অর্থনীতি সচল করার প্রয়োজনীয়তা সবাই বোঝে। কিন্তু যদি কেবল গার্মেন্টস মালিক, দোকান মালিকদের স্বার্থকে প্রধান করে দেখা হয়, সেটা গ্রহণযোগ্য হয় না। এ ক্ষেত্রেও রাস্তার দোকানদাররা, হকাররাতো তাদের দোকান বসাতে পারবেন না। ’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও তার দেশে করোনা প্রকোপের মধ্যেই সব খুলে অর্থনীতি সচল করার তাগাদা দিয়েছেন, কিন্তু তারপরও সেই চাওয়া উপেক্ষা করে বিশেষজ্ঞ, পরামর্শক ডা. ফাউসি সবকিছু খুলে না দেওয়ার পক্ষে অটল রয়েছেন। ব্রাজিলেও দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনা পরিস্থিতিতে সব সচল রাখার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেছেন। তাতে তিনি মন্ত্রীত্বও হারিয়েছেন। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও বিশেষজ্ঞদের সরকারকে বলতে হবে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা যখন ঊর্ধ্বমুখী, তখন সব চালু করার সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী কিনা। জনমনে করোনা নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, এ বিষয়ে স্পষ্ট করে বললেই জনগণের মধ্যে আস্থা ও স্বস্তি ফিরবে।
বাংলাদেশে সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২০
আরকেআর/এইচজে