ঢাকা: নয়াপল্টনে বিএনপির কোনো নেতা যখন ককটেল নিয়ে কার্যালয়ের ভেতরে বসে থাকেন, তখন তার বিরুদ্ধে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হয়। সরকার সেই ব্যবস্থাই নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির যে নেতারা বড় গলায় কথা বলেছেন, তাদের সবাই অগ্নিসন্ত্রাস ঘটাতে অর্থদাতা, হুকুমদাতা ও অংশগ্রহণকারী হিসেবে বিভিন্ন মামলার আসামি। রিজভী সাহেব গতকাল মামলার পরোয়ানা নিয়ে নয়াপল্টনে গিয়েছিলেন। আরও বেশ কয়েকজন গিয়েছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা ছিল।
তিনি বলেন, পুলিশের নাকের ডগায় যখন পরোয়ানাভুক্ত আসামি ঘুরে বেড়ায়, তখন তাদের গ্রেফতার করা পুলিশের কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়। কোনো নেতা যখন ককটেল নিয়ে কার্যালয়ের ভিতরে বসে থাকেন, তখন তার বিরুদ্ধে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হয়। সরকার সেই ব্যবস্থাই নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নয়াপল্টনে অনেকগুলো ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এতে একজন সাধারণ নাগরিক মারা গেছেন। সেটির পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আজ পাওয়া যাবে। পুলিশ ধারণা করেছে, তিনি ককটেল বিস্ফোরণে মারা গেছেন। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়া গেলেই এই বিষয়ে পরিষ্কার হওয়া যাবে। এভাবে দেশে বিশৃঙ্খলা ও আগুন সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চায় বিএনপি।
হাছান মাহমুদ বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে বিএনপিকে কখনো বাধা দিইনি। তারা দেশে সফলভাবেই শান্তিপূর্ণভাবে নয়টি সমাবেশ করেছে। সরকার তাতে সহায়তা করেছে। আওয়ামী লীগকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল সংযত আচরণ করতে, যাতে বিএনপির উসকানির মুখেও ধৈর্য ধরে। কিন্তু তারা (বিএনপি) আসলে দেশে শান্তি চায় না, যে কারণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। কিন্তু সরকার কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেবে না।
বিএনপি মহাসচিবকে অফিসে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না- এমন অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গতকাল সেই অফিসে ককটেল, লাঠিসোঁটা পাওয়া গেছে। নানা ধরনের উপাদান পাওয়া গেছে, যাতে জনজীবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। কাজেই আরও অতিরিক্ত তদন্ত করতে সেখানে পুলিশের নিরাপত্তা ও উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে।
সরকারকে সংযত হওয়ার কথা বলেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়- এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, প্রথমত, মার্কিন সরকার কোনো বিবৃতি দেয়নি। সেখানে নিয়মিত ব্রিফিং হয়। বিএনপি ঘরানার একজন সাংবাদিক, যিনি আগে খালেদা জিয়ার গণমাধ্যম শাখায় কাজ করতেন, তিনি সেখানে প্রশ্ন করেছেন, সেই প্রশ্নের জবাব এসেছে। এটি কোনোভাবেই মার্কিন সরকারের কোনো বিবৃতি নয়, প্রশ্নের জবাব। আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে কাউকে কোনো বাধা দিইনি। কিন্তু অশান্তি সৃষ্টি করতে কাউকে অনুমতি দেওয়া যায় না।
১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস সামনে রেখে পুলিশ কিংবা অন্য বাহিনীর বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কোনো বার্তা সরকারের কাছে আছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বিএনপির মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে পাঠাব। আমাদের কাছে অন্য কোনো বার্তা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২২
জিসিজি/আরএইচ