বাগেরহাট: নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বিএনপি ও জামায়াতের ১৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে মোরেলগঞ্জ পৌরসভার রওশনআরা মহিলা কলেজ এলাকায় নাশকতার প্রস্তুতিকালে এদের গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে গ্রেফতার নেতাকর্মীদের নামে মামলা দায়ের পূর্বক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে দুপুর ১টার দিকে প্রিজনভ্যানে করে গ্রেফতারদের আদালতে নেয় মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ।
গ্রেফতার নেতাকর্মীরা হলেন- উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. আব্বাস উদ্দিন, শ্রমিকদল সভাপতি মাসুদ খান চুন্নু, উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সভাপতি মশিউর রহমান শফিক, খাউলিয়া ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, খাউলিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি মো. শহিদুল ইসলাম হাং, সদস্য মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. সুমন খান, আব্দুর রব, মো. আবুল বাসার।
এছাড়া গ্রেফতার হওয়া আরিফুল ইসলাম অনিক, মো. বাদল শরিফ, মো. ইমদাদুল ইসলাম হাং, মো. মিন্টু হাওলাদার ও এস এম ফেরদৌস এর দলীয় পরিচয় জানা যায়নি।
এ ঘটনায় মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশের করা মামলায় এজাহার নামীয় আসামি ২৮ জন এবং অজ্ঞাতনামা রয়েছেন ৩০-৪০ জন আসামি রয়েছেন।
শুধু মোরেলগঞ্জ নয়, ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ কেন্দ্র করে কয়েকদিনে বাগেরহাটের ফকিরহাট, রামপাল, কচুয়া, মোল্লাহাট, চিতলমারী, মোংলা সদর উপজেলা থেকে জামায়াত-বিএনপির অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ এমন দাবি করেছেন দলটির নেতারা।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, গ্রেফতার বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি অবিস্ফোরিত ও একটি বিস্ফোরিত ককটেলসহ বেশ কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। মামলা দায়ের পূর্বক আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২২
এসআরএস