ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বাগেরহাটে সাংবাদিককে মারধর যুবলীগ নেতাকর্মীদের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২২
বাগেরহাটে সাংবাদিককে মারধর যুবলীগ নেতাকর্মীদের

বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এসএম সাইফুল ইসলাম কবির (৪৮) নামে এক সাংবাদিককে মারধর করেছেন যুবলীগের নেতাকর্মীরা।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে সাইনবোর্ড-বগি আঞ্চলিক মহাসড়কের মাঝিবাড়ি এলাকায় যুবলীগের তৈরি চেকপোস্টে উপস্থিত নেতাকর্মীরা এ হামলা করেন।

এ সময় সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম কবিরের স্ত্রী সাথী ইসলাম, বড় ভাই আব্দুল রব ফকির ও অটোরিকশা চালক অহিদুলকেও মারধর করেন তারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ লোহার রড ও লাঠি উদ্ধার করেছে।

মারধরের শিকার সাইফুল ইসলাম কবির দৈনিক অবজারভার পত্রিকার মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি এবং উপজেলার ভাইজোড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।

সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক কাজ সেরে অটোরিকশায় করে স্ত্রী ও বড় ভাইকে নিয়ে মোংলা থেকে ফিরছিলাম। পথে মাঝিবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন সুমনের নেতৃত্বে আমাদের অটোরিকশাকে আটকে দেওয়া হয়। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরেও সুমনসহ আরও কয়েকজন আমাকে মারধর করেন। আমার স্ত্রী, বড় ভাই ও অটোরিকশা চালককেও মারধর করেন তারা।

সাইফুল ইসলাম স্ত্রী সাথী ইসলাম বলেন, আমরা কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা আমাদের ওপর হামলা করে। আমার স্বামীকে ওরা অটোরিকশা থেকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমি অনেক কষ্টে ধরে রেখেছি। আমরা তো আওয়ামী পরিবার, আমাদের কী দোষ যে, পথেঘাটে মার খেতে হবে?

মারধরের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে যুবলীগ নেতা সাব্বির হোসেন সুমন বলেন, একটি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এজন্য আমি এবং চেকপোস্টে থাকা আরও কয়েকজন সাংবাদিক সাইফুল ইসলামের কাছে ক্ষমাও চেয়েছি।

মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, সাংবাদিককে মারধরের একটা ঘটনার কথা শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২২
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।