ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

মওলানা ভাসানীর জন্মবার্ষিকীতে গণসংহতির শ্রদ্ধা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২২
মওলানা ভাসানীর জন্মবার্ষিকীতে গণসংহতির শ্রদ্ধা

ঢাকা: মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে গণসংহতি আন্দোলন।

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাসানীর অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জননেতা জোনায়েদ সাকি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন—গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দিন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, দীপক রায়সহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনায় জোনায়েদ সাকি বলেন, অবিভক্ত ভারতবর্ষ তথা বাংলা অঞ্চলের অন্যতম প্রধান নেতা মওলানা হামিদ খান ভাসানীর অবদান অনস্বীকার্য ও তুলনারহিত। কার্যত তাঁর তুলনা তিনি নিজে। তিনি আওয়ামী মুসলিম লীগ ও আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। সংগ্রাম এবং গণমানুষের স্বার্থে সেই দলগুলোর রূপান্তর এমনকি সেই দল জনগণের বৃহত্তর স্বার্থের বিপরীতে অবস্থান নিলে সেখান থেকেও পদত্যাগ করেছিলেন তিনি। ইতিহাস আমাদের দেখায় জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে সেই সিদ্ধান্তগুলো তিনি নিয়েছিলেন। এই অঞ্চলের গণতান্ত্রিক, মানবিক, অসাম্প্রদায়িক ও জনগণের সাম্যাকাঙ্ক্ষী রাজনীতির সত্যিকারের প্রতিভূ হচ্ছেন মওলানা হামিদ খান ভাসানী। কেননা অল্পবয়সেই তিনি যে সশস্ত্র ও স্বদেশী আন্দোলন এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্য সমস্ত ধাপগুলো পাড়ি দিয়েছিলেন এবং তিনি ছিলেন কার্যত দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশদের রাজনীতির প্রকৃত উত্তরাধিকারী।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ভাসানী ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে ছিলেন, ছিলেন পাকিস্তান আন্দোলনে এবং বাংলাদেশের স্বাধীকার-স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে সার্বভৌমত্বের সংগ্রামে তিনি ছিলেন অন্যতম প্রধান নেতৃত্বে। আমরা ভাসানীর রাজনীতিকে সেকারণেই রাজনীতির ময়দানে প্রধান করে ঊর্ধ্বে তুলে ধরি।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার ধ্বংস করেছে, মানবাধিকার হরণ করেছে, জনগণের কথা বলার অধিকারকে রুদ্ধ করেছে। দেশটাকে গুম-খুন-হত্যাকাণ্ড-ধর্ষণ-নিপীড়নসহ বিচারহীনতা ও নৈরাজ্যের একটা নির্মম রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। গত ৫ দশকের বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের উল্টোপথে আজকে যাত্রা করেছে।

তিনি বলেন, এ অবস্থায় এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে একটা নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়কী সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান করে এবং একটা গণতান্ত্রিক শাসনকাঠামোর বাস্তবায়ন করতে হবে। আজকের মওলানা ভাসানীর জন্মদিনে আমরা তাঁর মতো করে জালেম সরকারের প্রতি ‘খামোশ’ উচ্চারণ করে জনগণের বৃহত্তর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ার অঙ্গীকার ও দৃঢ় শপথই নিচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২২
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।