ঢাকা: বিদেশি দূতাবাসকে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে চিঠি দেওয়া ও বিএনপি নেতাদের আটকের বিষয়ে কথা বলেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা নতুন কিছু নয়।
আমরা যেটা করেছি গতকালকে আমাদের দেশে যারা বিদেশি রাষ্ট্রদূত আছেন, তাদের আমরা প্রেসনোট পাঠিয়েছি গতকালকে এবং সেটারই কপি আমরা এখানেও দিয়েছি যে তারা জানবেন। কারণ আমরা ১০ তারিখের পর থেকে সকাল, বিকেল, সন্ধ্যা, দুপুর আমাদের কাছে তথ্য আছে, বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বিভিন্ন দূতাবাসে যাচ্ছেন, বিভিন্ন কূটনৈতিকদের সঙ্গে তারা দেন-দরবার করছেন। আমরা কোনো ব্রিফিং বা অন্য কিছু করতে চাইনি। আমরা শুধু তথ্যগুলো দিয়েছি। ১০ তারিখে কি ঘটেছিল বা ৭ তারিখে কি ঘটেছিল এবং আপনারা সেটা খুব ভালো করে জানেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনেকবার আপনাদের বলেছেন, ডিএমপি কমিশনার বলেছেন। আরও অন্যান্যরা বলেছেন যে, কোনোভাবেই বিএনপির কোনো সমাবেশে সেটাতে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না হয়, সেই চেষ্টা সরকার করেছে নিশ্চয়তা দিতে। ঢাকাতেও সেটা করা হয়েছে, যেটা আপনারা অন্যান্য বিভাগগুলোতেও দেখেছেন। কিন্তু, তারা সে নির্দেশনা না মেনে অতি উৎসাহী হয়ে ৭ তারিখ থেকে রাস্তাঘাট ব্যারিকেড করে দখল করার চেষ্টা করেছে।
আপনারা দেখেছেন যে, বিএনপির অফিস থেকে ১৬০ মণ নাকি ১৬০ বস্তা চাল তারা নিয়েছে। তো রাজনীতি আসলে এটা নয়। ওই বিএনপির অফিস থেকে খিচুড়ি রান্না হবে। এটা করে জনগণের রোধ করা হবে সেটা নয়। ১০ তারিখে জনসভার জন্য নয়াপল্টন অনুমোদন করা হয়নি। ৩ দিন আগে থেকেই তারা দখল করার চেষ্টা করেছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মতো বিশাল একটি ঐতিহাসিক জায়গায় বিএনপি সমাবেশ করতে চায়নি একটি কারণে, ডিসেম্বর মাসে একটি নৈতিক স্খলন যে তাদের হয়েছে বা শুরু থেকেই আছে, সেটার সঙ্গে আমাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্পিরিটের সঙ্গে মিলে না এক। দ্বিতীয় হলো এত পরিমাণ মানুষের সমাগম তারা করতে পারবে না। তাদের সাধুবাদ জানাই, তারা গোলাপবাগ মাঠ বেছে নিয়েছে। এ বিষয়গুলো আমরা দূতাবাসগুলোকে জানিয়েছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা মির্জা আব্বাসের গ্রেফতারের বিষয়ে যেটা জানিয়েছি, সেটা নিশ্চয়ই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আপনাদের জানানো হয়েছে। সেটা হলো- তাদের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে, এটার প্রাথমিক তদন্তের জন্য তাদের ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এবং জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে যে পরিমাণ তথ্য, উপাত্ত পাওয়া গেছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন অযোগ্য মনে করেছে। তাদের জামিন দেননি। এ তথ্যই মূলত আমরা আমাদের বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোতে দিয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২২
এমকে/এসএ