দিনাজপুর: সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাসসহ গ্রেফতার সব নেতাকর্মীর মুক্তি, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির ক্রমবর্ধমান উর্দ্ধগতির প্রতিবাদসহ ১০ দফা দাবিতে গণমিছিল করেছে দিনাজপুর জেলা বিএনপি।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় দিনাজপুর জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে গণমিছিলটি বের হয়ে জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবার কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে তাদের কার্যালয়ে সমাবেশ করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, সাবেক এমপি আক্তারুজ্জামান মিয়া, জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন দুলাল, সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ কচি, সহ-সভাপতি খালেকুজ্জামান বাবু, মোকাররম হোসেন, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, সব ধরনের দ্রব্যের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এই সরকারকে আর বাংলাদেশের মানুষ দেখতে চায় না। আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমান স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তে দেশের জন্য গ্রহণযোগ্য ২৭ দফা দাবি রাষ্ট্র সংস্কার, সমাজের সংস্কার এবং রাষ্ট্রের আইন-কানুন সংস্কারের জন্য জনগণের সামনে তুলে ধরেছেন। তা বাস্তবায়ন এবং চাল, ডাল, তেল, শিশুখাবারসহ সবকিছুর আকাশচুম্বি মূল্য এর হাত থেকে জনগনকে রক্ষা করা। এ আন্দোলনে আমাদের ৮ জন নেতাকে শাহাদৎবরণ করতে হয়েছে। আমরা এ হত্যার বিচার চাই।
তিনি আরও বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাসসহ যেসমস্ত নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার করেছে তাদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি নিয়ে আজকে আমরা রাজপথে। স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আজকে যে গণবিস্ফোরণ সৃষ্টি হয়েছে, গণঅভ্যুত্থান, এই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে খুনি হাসিনাকে বিদায় নিতেই হবে।
সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন, দেশকে রক্ষায় যেসব দাবি নিয়ে বিএনপি আজকে গণমিছিল করছে তা অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত। এসব দাবি সরকার মেনে নেবে আমরা এটাই চাই। নাহলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকিও দেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২২
এসএ