বাগেরহাট: বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিমের বাড়ি, শহরের সরুইস্থ দলীয় কার্যালয় এবং শ্রমিক দলের সাবেক জেলা সভাপতি সরদার লিয়াকত হোসেনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে শতাধিক মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে এসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিমের।
দলীয় কার্যালয় ও নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা এবং পুলিশের আটকের ফলে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করতে পারেনি বলে দাবি বিএনপির।
এটিএম আকরাম হোসেন তালিম বলেন, সকাল ১০টার দিকে আমার চাচাতো ভাই আলী রেজা আহমেদের স্ত্রী মারা গেছেন। সেজন্য আমরা পারিবারিকভাবে দুঃখ ভারাক্রান্ত রয়েছি। আমরা নিহতের দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় ছাত্রলীগের শতাধিক মোটরসাইকেল এসে আমাদের বাড়িতে হামলা করে। মৃত্যুর খবর শুনে বাসার সামনে আসা স্বজন ও প্রতিবেশীদের ধাওয়া করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তাদের বসার জন্য আনা চেয়ার ও বাড়ির ভেতর ঢুকে রুমের দরজা-জানালা ভাঙচুর করে। তাদের আমরা যতই বলি, এখানে একজন মানুষ মারা গেছে। এর জন্য লোকজন আসছে, এরা সবাই আমাদের স্বজন, তা না শুনে ওরা সব কিছু ভাঙচুর করে চলে যায়। এ ঘটনায় আসলে আমার কিছু বলার ভাষা নেই।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম আরও বলেন, সারাদেশে বিএনপির গণমিছিল কর্মসূচি ছিল। কিন্তু সকালথেকে আমাদের অফিস পুলিশ ঘেরাও করে রেখেছে। আমাদের কোনো নেতাকর্মীরা ভেতরে ঢুকতেই পারেনি। সেখানে মিছিল করার প্রস্তুতি নিলেপুলিশ পাঁচজনকে আটক করে। যাকে পাচ্ছে তাকে আটকে তৎপরতা চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা মিছিল করতে পারেনি।
বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম বলেন, কেন্দ্র ঘোষিত গণমিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল বাগেরহাটে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা এসে আমাদের অফিসের দরজা, জানালা ভাঙচুর করে। অফিস তালাবদ্ধ থাকায় দেওয়াল টপকিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে তারা হামলা ও ভাঙচুর করে। এছাড়া গেল দুই-তিনদিন ধরে আমাদের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করেছে। এছাড়া পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদেরও গ্রেফতার করেছে। যার কারণে আমরা কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে পারিনি।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, হামলা ভাঙচুরের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন তিনি।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মনির হোসেনকে ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এছাড়া বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ভুঁইয়া হেমায়েত উদ্দিনের মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
>> বাগেরহাটে বিএনপি-জামায়াতের ২১ নেতাকর্মী গ্রেফতার
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২২
আরএ