ঢাকা: উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বিএনপির গণমিছিলে পুলিশের গুলিতে একজন নিহত, অর্ধশতাধিক আহতের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম এ কবীরের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ বার্তা পাঠান তিনি।
গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক মান্না বলেন, সারাদেশে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, হামলা, মামলার প্রতিবাদে বিএনপি দেশব্যাপী গণমিছিলের কর্মসূচি পালনের ঘোষণা করেছিল। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের কারণে ঢাকার গণমিছিল কর্মসূচি পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর করে৷ এটি সহনশীল রাজনীতির পরিচয়।
তিনি বলেন, একইদিন ঢাকায় গণতন্ত্র মঞ্চসহ আরও কয়েকটি বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং জোট গণমিছিলের ডাক দিয়েছে। আজ ঢাকা ছাড়া সারাদেশে পূর্বঘোষিত মিছিলে সরকার দলীত ক্যাডার এবং পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা নানাভাবে বাধার সৃষ্টি করেছে, হামলা করেছে এমনকি পঞ্চগড়ে গুলি করে একজন বিএনপিকর্মীকে হত্যা করেছে। আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক। এ রকম ন্যাক্কারজনক ঘটনা এদেশে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের ১৪ বছরের শাসনামলে স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
মান্না বলেন, চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে এখন পর্যন্ত গুলি করে আটজনকে হত্যা করা হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক। সরকার রাষ্ট্রীয় বাহিনী দিয়ে বিরোধী মত তথা জনগণের কণ্ঠ রোধ করার জন্য নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করছে। মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করেছে বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক দলগুলোর কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের।
তিনি বলেন, এ সরকারের হাতে দেশ নিরাপদ নয়, দেশের অর্থনীতি নিরাপদ নয়, মানুষের জীবন নিরাপদ নয়। দেশকে বাঁচাতে, দেশের মানুষকে বাঁচাতে অবৈধ ক্ষমতাসীনদের হটাতে হবে। আর এজন্য প্রয়োজন সব বিরোধী শক্তির সর্বব্যাপক ঐক্য। সেই লক্ষ্যেই দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে সব বিরোধী রাজনৈতিক দল।
পঞ্চগড়ে নিহত বিএনপিকর্মীর রুহের মাগফেরাত কামনা করে মান্না বলেন, এ শোককে শক্তিতে পরিণত করতে হবে, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
সরকারকে হুঁশিয়ার করে ডাকসুর সাবেক এ ভিপি বলেন, জনগণ ফুঁসে উঠেছে, পতনের ঘণ্টা বেজে গেছে। গুলির ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। জনগণের শক্তির সামনে কোনো স্বৈরাচারই টিকতে পারেনি। অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২২
এমকে/আরবি