লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে জামায়াত-শিবিরের ২৭১ জন নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। গাড়ি ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও সরকারি সম্পদ বিনষ্টের চেষ্টার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়।
এই মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন, এজাহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামি মো. সোহেল ও ১৬ নম্বর আসামি মাওলানা ইসমাইল। শনিবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এজাহারভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক নুরনবী ফারুক, পৌর জামায়াতের সভাপতি আবুল ফারাহ নিশান, জামায়াত নেতা হুমায়ুন কবির, আনাস কামাল, আবু শরীফ মোহাম্মদ ইয়াকুব, মো. ইলিয়াস, ফারুকসহ ২১ জন।
শনিবার রাতে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আল-আমিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করে বলেন, নাশকতার চেষ্টার অভিযোগে জামায়াত-শিবিরের ২১ জনের নাম উল্লেখপূর্বক এবং অজ্ঞাত ২৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করে কারাগারে সোপর্দ করা হয়েছে।
শনিবার ভোরে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের পিয়ারাপুর এলাকায় মিছিল নিয়ে বের হয়ে জামায়াত-শিবিরের লোকজন গাড়ি ভাঙচুর করে এবং সরকারি সম্পদ ক্ষতির চেষ্টা করায় এই মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের পিয়ারপুর ব্রিজের ওপর আসামিরা শনিবার ভোরে জড়ো হয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এ সময় কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়েছে। ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে সরকারি সম্পদ পিয়ারাপুর ব্রিজের ক্ষতির চেষ্টা করেন অভিযুক্তরা।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের মোবাইলে ধারণকৃত স্থিরচিত্র দেখে এজাহারনামীয় আসামিদের শনাক্ত করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২২
আরএইচ