ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

আ. লীগ ২০টি আসনও পাবে না, জামানত বাজেয়াপ্ত হবে: বুলু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২২
আ. লীগ ২০টি আসনও পাবে না, জামানত বাজেয়াপ্ত হবে: বুলু

ঢাকা: রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, আগামী দিনে যদি এই দেশে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তাহলে আওয়ামী লীগ ২০টি আসনও পাবে না। তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী আহমেদসহ সব রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে মানব সেবা সংঘ।

বুলু বলেন, আজ দেশ যুগপৎ আন্দোলন শুরু হয়েছে। সব গণতান্ত্রিক, দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলগুলো এক মঞ্চে এসে দাঁড়াচ্ছে। শেখ হাসিনা, আপনি সময় থাকতে থাকতে পদত্যাগ করে দেশে গণতন্ত্রের সুবাতাস বইয়ে দিন। গণ আন্দোলনের মাধ্যমে পদত্যাগ হলে, আপনার নেতাকর্মীদের কী অবস্থা হবে, সেটা আল্লাহ বলতে পারেন, আমরা বলতে পারি না।

তিনি বলেন, আমরা আন্দোলন করছি এই দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব- সেই অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি গণতন্ত্র, বাক স্বাধীনতা, মৌলিক অধিকার ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য। কিন্তু আজ সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে কালা কানুন; মানুষের মৌলিক অধিকার, বাক স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র নেই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বুলু বলেন, আপনি অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। একটি নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নিরপেক্ষ ভোটের ব্যবস্থা করুন।

প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, গত ২৪ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে আপনার (প্রধানমন্ত্রী) বক্তৃতার অনেক অংশজুড়ে ছিল ভোট। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, এই দেশের মানুষ আর ভোট চোরদের দেখতে চায় না। ভোট চোরদের ইজ্জত করে না, সম্মান করে না। ভোট চোরদের সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থান নেই। ভোট চোরদের জনগণ আর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় দেখতে চায় না। বিবেকের তাড়নায় মনের অজান্তে এই শব্দগুলো আপনার মুখ থেকে বের হয়ে এসেছে।

ভোটচোরদের বিরুদ্ধে বিএনপির আন্দোলন সংগ্রাম উল্লেখ করে দলটির এই নেতা বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে জামায়াতে ইসলাম ও জাতীয় পার্টি এই দল দুটি নিয়ে আপনি (শেখ হাসিনা) ১৭৩ দিন হরতাল-ধর্মঘট করে এদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করেছিলেন। আমরা বিল পাস করেছিলাম। তারপর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে আপনি এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল বিলুপ্ত করলেন কী কারণে? আপনি জানেন, নিরপেক্ষ ভোট হলে আপনি নির্বাচিত হতে পারবেন না।

বুধবার রুহুল কবির রিজভীর আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মেজবার ওপর হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসীরা তার মোবাইল ফোন ও টাকা-পয়সা নিয়ে গেছে জানিয়ে বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, মামলা পরিচালনা না করার জন্য তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। আজ দেশে কী অবস্থা! আমার আইনজীবী আমার পক্ষে মামলা পরিচালনা করতে পারবে না, কোর্টে যেতে পারবে না, ধমক দেবে, প্রাণনাশের হুমকি দেবে। আমরা কোন দেশে বসবাস করছি। আফ্রিকাতেও তো এই অবস্থা নেই।

এ সময় তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।

মানব সেবা সংঘের সভাপতি সঞ্জয় দে রিপনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সফু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ, নির্বাহী সদস্য অ্যাড. আবেদ রেজা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২২
এসসি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।