ঢাকা: ‘খালি হাতে বের হইলে আওয়ামী লীগের পোলাপান ইতরামি করে, পুলিশ ধমকায়, খেদায়া দেয়। লাঠি থাকলে কিছু কয় না।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাতটায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বাড়ির সামনে মিছিল অংশ নেওয়া সিরাজের সঙ্গে কথা হয় বাংলানিউজের, এভাবেই নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন তিনি।
এদিন দেশজুড়ে বিএনপির ১০ দফা দাবিতে গণমিছিল করার কথা থাকলেও রাজধানীসহ দেশের অনেক স্থানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাধার মুখে দিনের বেলায় অনেক এলাকাতেই তা করতে ব্যর্থ হয় দলটির নেতাকর্মীরা। তবে রাজধানীর খিলগাঁও, শাহজাহানপুর, বাসাবোসহ কিছু কিছু এলাকায় সন্ধ্যার পর গণমিছিল করেছে বিএনপি। এ সময় দলের নেতাকর্মীদের হাতে লাঠিসোঠা ও লোহার পাইপ নিয়ে মিছিল করতে দেখা গেছে।
এদিন বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে গণমিছিল শুরু করে বিএনপি। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মিছিলটি মগবাজারের দিকে অগ্রসর হয়। মিছিল শুরুর আগে আগামী ১১ জানুয়ারি সারাদেশে গণঅবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
গণমিছিলে অংশ নিয়ে ড. মোশাররফ বলেন, সরকারের পতনের জন্য আগামী ১১ জানুয়ারি ঢাকাসহ সারাদেশে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করবে। গণবিরোধী এ সরকারের পতনের লক্ষ্যে দেশের মানুষ রাস্তায় নেমেছে। ঢাকায় এ কর্মসূচি নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে হবে।
এদিকে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় এক সমাবেশে অংশ নিয়ে বিএনপির গণমিছিলের সমালোচনা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এটাই বিএনপির মাথা ব্যথা। এরা ঠেলা গাড়িতে ফিরতে চায়, তাই প্রতিনিয়ত অগ্নিসন্ত্রাস করছে। দেশ মেরামত করতে চায়। তাদের বলে দিতে চাই, তারা যদি দেশে আর সন্ত্রাস কায়েম করে আওয়ামী লীগ বসে থাকবে না।
প্রসঙ্গত, গত ১০ নভেম্বর ঢাকায় বিভাগীয় মহাসমাবেশ করেছিল বিএনপি। সেই মহাসমাবেশে দাবি আদায়ে ও সরকার হঠাতে ১০ দফা কর্মসূচি দেয় তারা। ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গণমিছিল ছিল দলটির প্রথম কর্মসূচি। শুক্রবার বিএনপির নির্ধারিত গণমিছিল কর্মসূচি থাকলেও রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২২
এসআর/এমএমজেড