ঢাকা: জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেছেন, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, অপচয়, কোটি কোটি কালো টাকার মালিক উৎপাদন এখন চন্দ্র সূর্যের মতো বাস্তব ও প্রকাশিত। উন্নয়ন প্রকল্পের আড়ালে রাজনৈতিক প্রভাবে অতি সহজেই রাষ্ট্রের সম্পদ ‘অপহরণ’ হয়ে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।
জেএসডির নেতারা বলেন, দেশের অনেকগুলো মেগা প্রকল্পের ব্যয় উপমহাদেশের যে কোনো রাষ্ট্রের তুলনায় অত্যধিক। পদ্মা সেতু বা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো বহু মেগা প্রকল্পে প্রতিবেশী ভারতের চেয়ে অনেক বেশি নির্মাণ খরচেই প্রমাণ হয়—এসব মেগা প্রকল্পে দুর্নীতির ফাঁদ পাতা রয়েছে। যদি দুর্নীতির অস্তিত্ব না থাকতো তাহলে বিশ্বে অতি দ্রুত ধনী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ এক নম্বর হওয়ার কোনো সুযোগ হতো না। এই দ্রুত ধনীরাই গোপনে বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ দেশের বাইরে পাচার করছে।
তারা বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ প্রহসনের নামান্তর। জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যেখানে সর্বদা সকল উপায়ে দুর্নীতি দূরীকরণে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কার, জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা, গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রয়োজন সেখানে সর্বগ্রাসী দুর্নীতিকে অস্বীকার বা উপেক্ষা করলে, ভয়াবহ দুর্নীতি আরো প্রণোদনা পাবে, দেশ চরম সংকটাপন্ন হয়ে পড়বে। এভাবে সকল অন্যায়কে উপর্যপুরী অস্বীকার করার নীতি প্রয়োগ করতে থাকলে রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে মাফিয়া সুলভ কৌশল চালু হয়ে পড়বে যা প্রজাতন্ত্রের অস্তিত্বকে বিপন্ন করে ফেলবে।
জাতির অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে দুর্নীতি, অপশাসন, অপচয়, অর্থপাচার এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাসহ সকল কিছু অস্বীকার করার ‘বিপথগামী নীতি’ থেকে সরকারকে অবশ্যই বেরিয়ে আসতে হবে বলে উল্লেখ করেন জেএসডির নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২৩
এমএইচ/এমজেএফ