সিরাজগঞ্জ: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদ্য অবসরে যাওয়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেছেন, মনে রাখতে হবে শত্রু ভয়ংকর, এখনো ষড়যন্ত্র থামেনি। আগামী দিনে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আবার ক্ষমতায় আসব, জনগণই আমাদের রায় দেবে, সেইভাবে কাজ করতে হবে।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ শহরের মুক্তির সোপান চত্বরে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত গণসংবর্ধনায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক এই কেবিনেট সচিব বলেন, বাঙালি জাতি হাজার বছরের পরাধীনতা শোষন-শাসনের বিরুদ্ধে চিরকালই রুখে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু সেই সংগ্রাম সফল হয়েছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। জাতির পিতার নেতৃত্বে এই দেশ স্বাধীন হলো। পাকিস্তানি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধু একটি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশে ফিরে এলেন। শূন্য হাতে তিনি এদেশের হাল ধরেছিলেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে তিনি সংবিধান দিলেন, দেশকে গড়ে তোলার কাজে মনোনিবেশ করলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রের ষড়যন্ত্রে তাকে স্বপরিবারে হত্যা করা হলো।
এরপর মেজর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সত্যিকারের রাজনীতিদের জন্য রাজনীতি কঠিন করে তুললেন। টোকাইদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছিল। আবার শুরু হলো হত্যা-খুন-ষড়যন্ত্র আর লুটপাটের রাজনীতি। সর্বহারা পার্টি প্রকাশ্যে মিটিং করতে লাগলো। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চললো। একটি অন্ধকার যুগে দেশকে নেওয়া হয়েছিল। সেই অন্ধকারের মধ্যে আলোকবর্তিকা হয়ে এলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তারপর থেকে ৪০-৪২ বছর ধরে তিনি এদেশের গরীব দুঃখী মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন। বাবা-মা, ভাইদের হারিয়ে, নিজের স্বামী-সংসার, ছেলে-মেয়ে সবকিছু ছেড়ে তিনি বাবার আরাধ্য কাজকে শেষ করার জন্য জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের বুকে রোল মডেল হিসেবে পরিচিত হয়েছে। কিন্তু ষড়যন্ত্র বন্ধ হয়নি। তাকে হত্যার জন্য বারবার চেষ্টা হয়েছে, আজও হচ্ছে।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সিরাজগঞ্জের এক কু-সন্তান যিনি বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের শত শত কোটি টাকা লুট করে হাওয়া ভবনে সোফায় শুয়ে থাকতেন। শোনা যায় কুখ্যাত তারেক জিয়াকে কদমবুচি করে যার দিন শুরু হতো। এহেন ব্যক্তি আবার হুমকি দেয়। আমরা ভুলে যাইনি, তাদের শাসন আমলে আমাদের ত্যাগী নেতাদের হত্যা করা হয়েছিল। তাই আপনাদের কাছে আবেদন- হুঁশিয়ার থাকবেন এসব গণবিরোধী গণশত্রুদের সিরাজগঞ্জের মাটিতে যেন ঠাঁই না হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, ডা. আব্দুল আজিজ এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির প্রেসিডেন্ট আবু ইউসুফ সুর্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট বিমল কুমার দাস, হাজী ইসহাক আলী, পৌর মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৩
এমএমজেড