সাভার (ঢাকা): ঢাকার ধামরাইয়ে একটি মাদ্রাসার ইট বিক্রি নিয়ে বিতর্কের জেরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সাবেক ইউপি সদস্যসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে ধামরাই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান।
এর আগে, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার সানোড়া ইউনিয়নের শোলধন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী আব্দুল মান্নান ধামরাইয়ের সানোড়া ইউনিয়নের ছোট নারায়নপুর এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে। তিনি উপজেলার সানোড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
অভিযুক্তরা হলেন, ধামরাইয়ের সানোড়া ইউনিয়নের শোলধন এলাকার কামাল মাদবরের ছেলে মহিদুর রহমান সজল, রেজাউল করিম, রহম আলীর ছেলে আরফান ও টিক্কা। মহিদুর সানোড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার।
ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তের সূত্র জানায়, প্রায় দেড় বছর আগে সড়ক প্রশস্তকরণ কাজের সময় মাদ্রাসার সীমানা দেয়াল ভেঙে ফেলা হয়। সেগুলো এতদিন ধরে মাঠেই পড়ে ছিল। কিছুদিন পর এখানে থাকা বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হবে। সেজন্য সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এই ইট বিক্রি করা হবে। সেই ইট বিক্রির নিলামের মধ্যেই দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান বলেন, নিলাম হওয়া ইটের দাম কবে দেওয়া হবে এটা নিয়ে তর্ক শুরু হয়। আমি বলি টাকা নগদ দিতে হবে। এটা নিয়ে তর্কের মধ্যেই অভিযুক্তরা আমার ওপর হামলা চালায়। আমাকে উপর্যুপরি কিলঘুষি মারতে থাকে। এতে আমি রক্তাক্ত জখম হই। পরে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে অভিযুক্ত চারজনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ করি।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত মহিদুর রহমান সজল বলেন, তিনি আমাদের মুরুব্বি। তাকে কোনো মারধর করা হয়নি। তিনি এমন কথা বলে থাকলে তা ভুয়া। অভিযোগ করে থাকলে পুলিশ তদন্ত করবে। তারা দেখবে। আমরা তাকে কোনো মারধর করিনি।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তালুকদার সজীব হাসান বলেন, ওই ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনাটি জেনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৩
এসএফ/এসএ