ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

ডা. মালেককে হারানো আমাদের বিশাল ক্ষতি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী 

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২৩
ডা. মালেককে হারানো আমাদের বিশাল ক্ষতি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ছবি: ডি এইচ বাদল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ডা. এস. এ. মালেককে হারিয়ে আমাদের বিশাল ক্ষতি হয়েছে। অত্যন্ত সৎ ও স্পষ্টভাষী মানুষ ছিলেন তিনি।

 

রোববার (২২ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বঙ্গবন্ধু পরিষদের ১৫ বছরের কর্মকাণ্ডের ছবি নিয়ে ডা. এস. এ. মালেকের স্মৃতি আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।  

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা কে দিয়েছে এই বিষয়ে নানান ধরনের বিতর্ক হয়। এই বিষয়ে ডা. এস. এ. মালেক খুব‌ই সুন্দর একটা উত্তর দিয়েছিলেন‌। তিনি বলেন স্বাধীনতা ঘোষণার অধিকার কার আছে? নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির‌ই একমাত্র অধিকার আছে স্বাধীনতা ঘোষণা করার। বঙ্গবন্ধু ছিলেন সেই নেতা যিনি ৭০ এর নির্বাচনে জয় লাভ করে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি ছিলেন। একমাত্র বঙ্গবন্ধুর‌ই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার অধিকার ছিল।

ডা. এস. এ. মালেকের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মন্ত্রী বলেন,  বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলার জন্য সোনার মানুষ গড়ার প্রত্যয় করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু পরিষদ সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এই কাজগুলো করতে পারলেই এই সংগঠনগুলোর সার্থকতা।  

বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান লাল্টুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য  সরওয়ার জাহান বাদশাহ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, ডুয়েট উপাচার্য  ও প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক ড. মোঃ হাবিবুর রহমান, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাছিম আখতার, বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুল ওয়াদুদ এবং ডা. এস. এ. মালেকের পুত্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ডা. এস. এ. মালেক দেশের কঠিন সময়ে বুদ্ধিজীবী সমাজকে সংগঠিত করেছিলেন। জিয়ার স্বৈরাচারী শাসনের সময় স্বাধীনতার কথা বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধুর কথা বলেছিলেন। তিনি একজন আদর্শবান মানুষ ছিলেন। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণের কথা বলি। কিন্তু আমরা আসলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করি না। ক্ষমতা পাওয়ার সাথে সাথে আমরা সম্পদের পেছনে দৌড়াই, নিজেকে সুসংহত করতে কাজ করি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মনে প্রাণে ধারণ করলে আজ দেশে মৌলবাদীর উত্থান ঘটত না। স্বাধীনতার চেতনা বাঁচাতে হলে, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে হলে সত্যিকার অর্থে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করতে হবে। যে আদর্শের সিপাহসালার ছিলেন ডা. এস. এ. মালেক।

ডা. এস এ মালেক বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাবেক সভাপতি ছিলেন। তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে ফরিদপুর থেকে নির্বাচিত হন। ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২৩
এসএএইচ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।