ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ছাত্রলীগ সভাপতির নেতৃত্বে আ. লীগ নেতার বাড়িতে গুলি-হামলা

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩
ছাত্রলীগ সভাপতির নেতৃত্বে আ. লীগ নেতার বাড়িতে গুলি-হামলা ছবি: সংগৃহীত

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ): নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা হয়েছে। এ  সময় গুলি--ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

উপজেলার মিঠাবো এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগকারী আওয়ামী লীগ নেতার নাম আবু দাউদ মোল্লা। তিনি ভুলতা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।  

আবু দাউদ মোল্লা বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে বৃহস্পতিবার বিকেলে আমাকে হত্যার উদ্দেশে রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তানজিন আহমেদ খান রিয়াজের নেতৃত্বে রাশেদ, আলামিন, আলিফ, আলিনুর, মাসুদ, শরীফসহ ৩৫ থেকে ৪০ জন মোটরসাইকেলযোগে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার মিঠাবোর বাড়ির সামনে অবস্থান নেন। তখন তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। একপর্যায়ে ৫-৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে এলাকায় আতঙ্কে সৃষ্টি করেন,  যা সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে। পরে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে আমার স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগমের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে আলমারির চাবি কেড়ে নেয়। পরে আলমারিতে থাকা ১১ লাখ টাকা ও আট ভরি স্বর্ণ লুট করে তারা। তখন তারা ঘরে থাকা টেলিভিশনসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। লুটপাট শেষে আমাকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়ে বীরদর্পে তারা চলে যায়।

আবু দাউদ মোল্লা অভিযোগ করে আরও বলেন, আমিতো নৌকার রাজনীতি করি। আর একটি পক্ষের সঙ্গে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি বিধায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে এ ধরনের নেক্কারজনক ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।

আবু দাউদ মোল্লার স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম বলেন, আবু দাউদ মোল্লা হাটাবো বাজারে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। সন্ত্রাসীরা হত্যার উদ্দেশে এ হামলা চালিয়েছে। বর্তমানে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তানজিন আহমেদ খান রিয়াজ বলেন, আমরা হাটাবোর একটি প্রোগ্রামে মিছিল দিয়ে শোডাউন করতে করতে যাচ্ছিলাম। আবু দাউদ মোল্লার বাড়ির সামনে আমরা থেমেছিলাম এবং সঙ্গে সঙ্গে স্থান ত্যাগ করেছি। কোনো গুলি, হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের মতো ঘটনা ঘটেনি। ছাত্রলীগকে কলঙ্কিত করার জন্য এ ধরনের ঘটনা সাজানো হয়েছে।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।