ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

শেখ হাসিনা সবার ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন: ড. সেলিম মাহমুদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৫ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২৩
শেখ হাসিনা সবার ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন: ড. সেলিম মাহমুদ

ঢাকা: আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা একদিকে যেমন দেশে বৈপ্লবিক উন্নয়ন করেছেন, অন্যদিকে দেশের সব মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন। সমকালীন বিশ্বে এরকম দক্ষ, সাহসী, মেধাবী, মানবতাবাদী ও দেশপ্রেমিক নেতা বিরল।

দেশের মানুষের স্বার্থেই আরও বহু বছর রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় থাকতে হবে।

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার  ৭ নম্বর সদর দক্ষিণ ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে এবং ৯ নম্বর কড়ইয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ডুমুরিয়া গ্রামে দেশের উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে শেখ হাসিনার অবদান শীর্ষক আওয়ামী লীগের উঠান বৈঠকে প্রধান আলোচক হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে দিয়ে যাননি, তিনি এই রাষ্ট্রকে একটি টেকসই এবং শক্তিশালী অর্থনীতির রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার সব ব্যবস্থা করে দিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যার পর দেশের আদর্শ বিরোধী শক্তি বাংলাদেশকে সব ক্ষেত্রে পিছিয়ে রেখেছিল। জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা দেশের হাল ধরেছেন। তিনি যুগান্তকারী সব উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে পাল্টে দিয়েছেন। এত অল্প সময়ের মধ্যে বিশ্বে কোনো রাষ্ট্রনায়ক তার দেশে এতো ব্যাপকভিত্তিক উন্নয়ন করতে পারেননি।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার এই ব্যাপক উন্নয়নের মূল সুবিধাভোগী এদেশের জনগণ। তিনি সত্যিকার অর্থে এদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছেন। ২০০৬ সালে বিএনপি যখন ক্ষমতা ছাড়ে তখন দেশের মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৫১০ মার্কিন ডলার। শেখ হাসিনা মাত্র ১৪ বছরে মাথাপিছু আয় ২৯০০ ডলারে উন্নীত করেছেন। বিএনপি ৭১ বিলিয়ন ডলারের জিডিপি রেখে গিয়েছিল। শেখ হাসিনা এটিকে ৪৬১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছেন। তারা শিক্ষার হার রেখে গিয়েছিল মাত্র ৪৫ শতাংশে। ‌‌ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা শিক্ষার হার ৭৫ শতাংশে উন্নীত করেছেন।

শেখ হাসিনার উদ্যোগে দারিদ্র্য মানুষের হার ৪১ দশমকি ৫ শতাংশ থেকে কমে ২০ শতাংশে এবং অতি দারিদ্র্য মানুষের হার ১০ দশমিক ৫ শতাংশ দাঁড়িয়েছে। বিএনপি ২০০৬ সালে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩ দশমকি ৪৮ বিলিয়ন ডলার রেখে গিয়েছিল। শেখ হাসিনার সরকার এ রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছিল। বিদ্যুৎ খাতে শেখ হাসিনার মাত্র ১৩ বছরের উন্নয়নে এ খাতে দেশের ১০০ বছরের অর্জনকে অতিক্রম করেছে। ১৯১০ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত মোট ১০০ বছরে বাংলাদেশে মাত্র ৪৭ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পেয়েছিল। শেখ হাসিনা মাত্র ১৩ বছরে আরও ৫৩ শতাংশ মানুষকে বিদ্যুতের সুবিধায় এনে দেশের শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতের সুবিধা দিয়েছেন।

ড. সেলিম বলেন, শেখ হাসিনার মতো রাষ্ট্রনায়ক কোনো দেশে যুগে যুগে জন্মায় না। একটি জাতি শত বছরে এরকম একজন রাষ্ট্রনায়ক পায়। আওয়ামী লীগ ছাড়া এদেশের অতীতের সরকারগুলো ক্ষমতায় এসেছিল নিজেদের ভাগ্য গড়ার জন্য। ‌ দেশের মানুষকে তারা কিছুই দিতে পারেনি। শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে পাঁচ বছর কিংবা ১০ বছরের পরিকল্পনা করেন না। তিনি ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের বহু প্রজন্মের কথা চিন্তা করে পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং সে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করেন। ‌‌ উন্নয়নশীল বিশ্বে তিনিই একমাত্র রাজনীতিবিদ যিনি তার দেশে ১০০ বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন এবং সেটি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন।

ড. সেলিম  আরও বলেন, বিভিন্ন বৈশ্বিক সংকটে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা কীভাবে দেশকে রক্ষা করেছেন, দেশের কোটি কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষা করেছেন- এই কথাগুলো দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।

আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ কচুয়ার হোসেনপুর গ্রামে অবস্থিত কচুয়ায় আওয়ামী লীগের রাজনীতির প্রতিষ্ঠাতা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর অ্যাডভোকেট আব্দুল আউয়ালের কবর জিয়ারত শেষে কচুয়ায় আওয়ামী লীগের উঠান বৈঠক কর্মসূচি শুরু করেন।

কচুয়ায় এ উঠান বৈঠকগুলোতে আরও বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আইয়ুব আলী পাটোয়ারী, কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী সোহাগ, কচুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর যুবলীগের সভাপতি মাহবুব আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউদ্দিন হাতেম, ৪ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাবিব মজুমদার জয়, ৭ নম্বর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার কামরুজ্জামান ও সাবেক চেয়ারম্যান জসীমউদ্দীন লিটন, ৯ নম্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আহসান হাবীব জুয়েল, ১২ নম্বর ইউপির চেয়ারম্যান রেজাউল মাওলা হেলাল, প্রিন্সিপাল শফিকুল ইসলাম, চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপপ্রচার সম্পাদক মোতালেব হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার শামীম, আওয়ামী লীগ নেতা আহসান হাবিব প্রাঞ্জল, কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সরকার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ০০১৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২৩
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।