ঢাকা: মিরপুরে বিএনপির ইফতারে এনটিভির সাংবাদিককে মারধর ও চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের ক্যামেরা ভাঙচুর করার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, মিরপুরের পল্লবীতে ইফতারে পেটানোর ঘটনায় মির্জা ফখরুল প্রথমে ক্ষমা স্বীকার করে পরে আওয়ামী লীগের উপর দায় চাপিয়েছেন।
শনিবার (১ এপ্রিল) দুপুরে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় সাংবাদিকেরা আওয়ামী লীগের শত্রু নয় বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, সমালোচনা করা যাবে না, এটা কখনো বলিনি। প্রথম আলো ভাবে শত্রু, কিন্তু সাংবাদিকেরা আওয়ামী লীগের শত্রু নয়। সাংবাদিকদের জন্য শেখ হাসিনা সরকার যথেষ্ট করেছে। অষ্টম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করেছে। প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিক।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশেই আমরা দেখেছি স্বাধীনতা দিবসের দিন সে দেশের গণমাধ্যম অনুপ্রেরণামূলক বাণী দিয়ে উৎসাহ করে। কিন্তু প্রথম আলো তাদের প্রভুদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য জাতির সামনে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে। তরুণ প্রজন্মকে হতাশা ও উসকানি দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে তারা।
তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের যে বিষয়টি আমাদের রাজনৈতিক জীবনের সংকট ঘনীভূত করছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়ে কি করব? শিরোনামের সংবাদ এই ষড়যন্ত্রটি একটি অংশ। একটি পত্রিকার এই সংবাদ মিথ্যা, বানোয়াট,ষড়যন্ত্র দূরভীসন্ধিমূলক - এতে কোনোরকম সন্দেহ নেই। এটা সাংবাদিকতার বিশ্বজনীন নীতিমালার চরম লঙ্ঘন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রথম আলো সংবাদটি একজন দিনমজুরের উদ্ধৃতি দিয়ে যেভাবে প্রকাশ করেছে। সেটা দিনমজুরের বক্তব্য নাকি প্রথম আলোর দেওয়া সেটি ভাবনার সময় এসেছে। সাত বছরের একটি শিশুকে ১০ টাকা ঘুষ দিয়ে বক্তব্য নেওয়া সেটাই কি এই সাংবাদিকতা?
সেতুমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা দিবস তরুণ প্রজন্মের দেশাত্মবোধ সৃষ্টি করে। এই দিনে পলিটিকাল সিলেক্টটেড বিশেষ এক এজেন্ডা সেটিংয়ের উদ্দেশ্য এই সংবাদটি মহান স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা সামিল নয়? প্রথম আলোর এমন সংবাদ জাতিসত্তার বিন্যাসের অপতৎপরতা নয় কি?
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও তার সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রচার করে তারা। তারা বরাবরই বিরাজ নীতি করণের উদ্যোগ নিয়ে থাকে। এভাবেই চিলমারীর এলাকার প্রতিবন্ধীর নারী বাসন্তীকে দশ টাকার শাড়ি খুলে ৩০০ টাকা জাল পরিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পটভূমি রচনা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর প্রায় তিন বছর বাংলাদেশকে গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত রাখা হয়েছে।
যৌথসভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাহজাহান খান, লে. কর্নেল (অব) মোহাম্মদ ফারুক খান, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. আব্দুস সবুর, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ দপ্তর সায়েম খান প্রমুখ।
এছাড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ ও ছাত্রলীগের র্শীষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২৩
এনবি/এসএএইচ