ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলায় বিএনপির কর্মসূচি পণ্ড, আহত ২০

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০২৩
যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলায় বিএনপির কর্মসূচি পণ্ড, আহত ২০ ঘটনাস্থলের দৃশ্য

ভোলা: ভোলার মনপুরায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলায় উপজেলা বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।  

এ সময় উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেন মনপুরা উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি সেলিম মোল্লা।

 

এছাড়াও পরপর দুইবার হামলা চালিয়ে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়কের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

শনিবার (৮ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে পুরান হাসপাতাল সংলগ্ন সড়ক দিয়ে উপজেলা বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিতে আসা কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম নয়ন ফিরে যাওয়ার সময় এই হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহতরা হলেন- উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শামসুদ্দিন মোল্লা, উপজেলা বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ছালাউদ্দিন প্রিন্স, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জামাল মেম্বার, যুবদলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা সেলিম, স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক মো. মিজান, যুবদল নেতা মহিউদ্দিন, ওবায়দুল, বাহার, নুরনবী, ইলিয়াস, স্বেচ্ছাসেবক দলের তুহিন, ছাত্রদলের শুভ ফরাজীর নাম পাওয়া যায়।  

এদের মধ্যে উপজেলা বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ছালাউদ্দিন প্রিন্স ও স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা তুহিনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ভোলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি সেলিম মোল্লা জানান, শনিবার সকাল ১০টার দিকে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে আসা কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম নয়নসহ নেতাকর্মীরা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শামসুদ্দিন মোল্লার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে উপজেলা বিএনপির অফিসের সামনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালনের প্রস্ততি নেয়। এই সময় যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঠা নিয়ে পরপর দুইবার হামলা চালিয়ে বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করে। পরে কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল ইসলাম নয়ন চলে যাওয়ার পথে ফের হামলা চালিয়ে ২০ নেতাকর্মীকে আহত করে। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ভোলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনার সঙ্গে আওয়ামী লীগসহ যুবলীগ-ছাত্রলীগ জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির।  

তারা জানান, উপজেলা বিএনপি আলম-নয়ন গ্রুপে বিভক্ত। তারা নিজেদের মধ্যে মারামারি করে এখন আওয়ামী লীগের ওপর দায় চাপাতে চায়।

এ ব্যাপারে মনপুরা থানার দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) লুৎফুর রহমান জানান, দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির জেরে হামলার ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ব্যাপারে বিএনপির পক্ষ থেকে লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।