ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

গণতন্ত্র মঞ্চে ভাঙন: রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের ঈঙ্গিত

তানভীর আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৮ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২৩
গণতন্ত্র মঞ্চে ভাঙন: রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের ঈঙ্গিত গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ সমাবেশের ফাইল ছবি

ঢাকা: গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে গণ অধিকার পরিষদ বেরিয়ে আসায় রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। নির্বাচনী বছরের প্রায় মাঝামাঝি সময়ে দলটির এই সিদ্ধান্তকে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করে অনেকের মন্তব্য—মঞ্চ ভাঙলো নাকি নাটক শেষ হলো! তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে জাতীয় রাজনীতিতে নয়া মেরুকরণের ঈঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

সরকারবিরোধী আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

গণতন্ত্র মঞ্চ ছেড়ে এলেও ভিপি নুরুল হক নুরের তৈরি গণ অধিকার পরিষদ নামের নতুন এই দল বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে সমন্বয় করে যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। এতে সরকারবিরোধী আন্দোলনে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের কেউ কেউ মনে করছেন। তারা বলছেন, এতে জাতীয় রাজনীতিতে নয়া মেরুকরণের ঈঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সরকারবিরোধী আন্দোলন।

গত ৬ মে গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণা দেয় ড. রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদ। গণতন্ত্র মঞ্চের কয়েকটি প্রোগ্রামে অবমূল্যায়ন, গণতন্ত্র মঞ্চে বাম ঘরানার আধিপত্যসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে বেরিয়ে আসে দলটি।

২০২২ সালের ৮ আগস্ট ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে গণতন্ত্র মঞ্চের আত্মপ্রকাশের ঘটে। গণতন্ত্র মঞ্চের সাতটি দল হলো—আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বে নাগরিক ঐক্য, সাইফুল হকের নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বে গণসংহতি আন্দোলন, ড. রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বে গণ অধিকার পরিষদ, রফিকুল ইসলাম বাবলুর নেতৃত্বে ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও হাসনাত কাইয়ুমের নেতৃত্বে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।

গণতন্ত্র মঞ্চের পথচলার শুরু থেকেই নানা বিষয় নিয়ে গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে মতবিরোধ চলে আসছিল। গণ অধিকার পরিষদ বের হয়ে যাওয়ায় এখন গণতন্ত্র মঞ্চে ছয়টি দল থাকলো।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বাংলানিউজকে বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য গণতন্ত্র মঞ্চের প্রতিষ্ঠা হয়। বৃহত্তর আন্দোলনের আগ মুহূর্তে চলে যাওয়া এক ধরনের ধাক্কা। তবে কেন বেরিয়ে গেলেন, এর জবাব তারাই ভালো দিতে পারবেন। আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে জানতে পেরেছি বিভিন্ন অবমূল্যায়নের কারণে বেরিয়ে গেছেন। তাদের এই বক্তব্য একেবারেই সঠিক নয়। বরং গণতন্ত্র মঞ্চের আন্দোলনের ধারাবিরোধী কাজ করেছেন তারা।

গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হানিফ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ডান-বামে বিশ্বাস করি না। আমরা চেয়েছিলাম, এ জোটে সবার সমন্বয় থাকবে, যেটা হয়নি। তাই গণ অধিকার পরিষদ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গণ অধিকার পরিষদ এখন থেকে স্বতন্ত্রভাবে যুগপৎ আন্দোলনে শামিল হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২৩
টিএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।