ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

নগরকান্দায় দু’গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া: আ.লীগ অফিস ভাঙচুর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১০ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৩
নগরকান্দায় দু’গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া: আ.লীগ অফিস ভাঙচুর

ফরিদপুর: ফরিদপুরের নগরকান্দায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের বেশ কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করা হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (১১ মে) বিকেলে নগরকান্দা উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে বিএনপি অস্থিরশীল পরিস্থিতি তৈরি করে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার পাঁয়তারা করার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১১ মে) বিকেলে আ.লীগের দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশ আহ্বান করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদ্য ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া। কিন্তু এই সমাবেশ প্রতিহত করতে স্থানীয় সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীর সমর্থকরা উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় অবস্থান নেয়। তখন জামাল হোসেনের সমর্থকরা জুঙ্গুরদী এলাকায় অবস্থান করে।  

পরে জামাল হোসেনের সমর্থকরা জড়ো হয়ে সমাবেশ করতে কার্যালয় গেলে লাবু চৌধুরীর সমর্থকরা বাধা দেয়। এ সময় দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে লাবু চৌধুরীর সমর্থকরা আওয়ামী লীগ কার্যালয় ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে জামাল হোসেনের সমর্থকরা দলীয় কার্যালয় গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। এ সময় আওয়ামী লীগ অফিসের বেশ কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করা হয়।

নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে বৃহস্পতিবার বিকেলে দলীয় কার্যালয় একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। কিন্তু এতে বাধা দেন স্থানীয় এমপি শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীর সমর্থকরা। তারা দলীয় কার্যালয় দখলে নিয়ে রাখেন। এ সময় আমরা কার্যালয়ে গেলে লাবু চৌধুরীর সমর্থকরা পালিয়ে যায়। পরে আমরা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে চলে আসি।  



কার্যালয় ভাঙচুর সম্পর্কে তিনি বলেন, আমার সমর্থকরা কার্যালয় ভাঙচুর করেনি। লাবু চৌধুরীর সমর্থকরা পরিকল্পিতভাবে অফিসের চেয়ার ভেঙে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

জামাল হোসেন আরও বলেন, বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুস সোবহান মিয়া নিজেকে সভাপতি দাবি করেন। কিন্তু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হলেন আয়মন আকবর বাবলু চৌধুরী। অথচ তিনি নিজেকে সভাপতি দাবি করে বিবৃতি দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন।

ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, কারা আওয়ামী লীগ কার্যালয় হামলা করেছে তার ভিডিও আমার কাছে আছে। ওই ভিডিও প্রমাণ করে দেবে কারা আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর করেছে। আর নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আয়মন আকবর বাবলু চৌধুরী এলাকায় না আসায় নিয়ম অনুয়ায়ী আব্দুস সোবহান মিয়াকে এক নম্বর সহ-সভাপতি হিসেবে তাকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন, ঘটনার সময় কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। এলাকার পরিবেশ শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া কারা আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস ভাঙচুর করেছে, তা খতিয়ে দেখতে পুলিশ কাজ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।