ময়মনসিংহ: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ডেড ইস্যু নয়, বরং নির্বাচনী বাস্তবতায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখনও অনেক বড় জীবন্ত ইস্যু বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
পাশাপাশি, এই নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে নীতিগতভাবে রাজী না হলে, বিএনপি তথা বিরোধী দল সরকারের সঙ্গে অর্থহীন সংলাপে বসবে না বলেও জানান দলটির এই নেতা।
শনিবার (১০ জুন) বিকেলে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আজীবন ক্ষমতায় টিকে থাকতে আওয়ামী লীগ ইচ্ছামতো সংবিধান কাটা-ছেঁড়া করে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে মন্তব্য করে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, বিগত দিনে বার বার প্রমাণিত হয়েছে। অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে আওয়ামী লীগ সরকার একমাত্র বাঁধা। তাই এই সরকারের পদত্যাগ, পার্লামেন্ট বিলুপ্তি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনই অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচনের একমাত্র গ্যারান্টি। কারণ আওয়ামী লীগ সুপরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করে ফরমায়েশি রায় দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধান থেকে বাদ দিয়েছে।
তিনি বলেন, মেজরিটির জোরে বাদ দিলেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ডেড ইস্যু হয়ে যায়নি, বরং নির্বাচনী বাস্তবতায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখনও অনেক বড় জীবন্ত ইস্যু।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আছে, কি নাই বা সংবিধানে কী আছে- তা না খুঁজে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে এবং দেশ ও গণতন্ত্রের বৃহত্তর স্বার্থে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের পদক্ষেপ নিতে হবে।
বাংলাদেশেই প্রথম নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয় উল্লেখ করে প্রিন্স বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশেই প্রথম নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়। পৃথিবীর কোনো দেশে ভোটের আগের রাতে অনুগত প্রশাসন দিয়ে ব্যালট বাক্স বোঝাই করে ফল ঘোষণা করা হয়নি। তাই সংবিধানের দোহাই দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। সংবিধান বাঁধা নয়, সুষ্ঠু নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রশ্নে আওয়ামী লীগ সরকারের সদিচ্ছা আছে কি না? সেটাই বড় প্রশ্ন।
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য মফিজ উদ্দিন, অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম কাজল, আনিসুর রহমান মানিক, ফরহাদ রাব্বানী সুমন, মোয়াজ্জেম হোসেন খান লিটন, বিএনপি নেতা ফরিদ আল রাজি কমল, উত্তর জেলা ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক নাইমুর আরেফীন পাপন, যুগ্ম সম্পাদক ফারুক হোসাইন, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম ডলার, যুগ্ম সম্পাদক ফরহাদ আল রাজি, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, কৃষক দলের আহ্বায়ক নয়ন মন্ডল, সদস্য সচিব কাছুম উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জালাল উদ্দীন, সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম পলাশ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এইচ এম ইমরান হোসাইন, সদস্য সচিব কামরুল হাসান সুমন, মহিলা দলের জেলা কমিটির পুষ্পন্নাহার, তাহমিনা আক্তার, ওলামা দলের মাওলানা ওবায়দুল্লাহ, মওলানা হাবিবুর রহমান, জাসাস নেতা আতাউর রহমান, এনামুল হক, তাঁতী দলের আহ্বায়ক ওসমান গণি সরকার, সদস্য সচিব হাসান শাহ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৩
এনএস