ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

কোম্পানীগঞ্জে বিএনপির ৩৪৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৬ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২৩
কোম্পানীগঞ্জে বিএনপির ৩৪৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা ফাইল ফটো

নোয়াখালী: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৩৪৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার ওপর হামলার অভিযোগে মামলা হয়েছে।

মামলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৯৩ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৬ জুন) দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে, বৃহস্পতিবার রাতে হামলার শিকার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় এজাহার সূত্রে জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বিএনপির হাসনা মওদুদ ও ফখরুল গ্রুপ আলাদাভাবে বিভক্ত হয়ে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য গত কিছু দিন ধরে দফায় দফায় মারামারিতে লিপ্ত হয়ে কোম্পানীগঞ্জ এলাকায় ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করছেন।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বিকেল ৫টার দিকে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আলমগীর হোসেন বাড়ি থেকে ওষুধ কিনতে বসুরহাট বাজারে যান। বাড়ি থেকে বাজারে যাওয়ার পথে বিএনপির নেতাকর্মীরা বহুদিন আওয়ামী লীগের লোককে পেটানো হয় না বলে তার ওপর হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারীরা তাকে লোহার রড, হকিস্টিক ও লাঠিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। তার পকেটে থাকা ২৩ হাজার ৫০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়।

একপর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আলমগীরের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে বিএনপি নেতাকর্মীরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে ও ককটেল বিস্ফোরণ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে পালিয়ে যায়।   

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য প্রয়াত ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের সহধর্মিণী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক এমপি হাসনা জসিম উদদীন মওদুদ অভ্যন্তরীণ কোন্দলের অভিযোগ নাকচ করে বলেন, বিনা উসকানিতে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার হাসপাতাল গেইটে বসুরহাট পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক রাফেলকে লোহার রড দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয় যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীরা।

ওই সময় সেচ্ছাসেবকদল নেতা সাইমুনও হামলার শিকার হয়। পরে আহত যুবদল নেতা রাফেল ও সাইমুনকে দেখতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পথে কোম্পানীগঞ্জ থানার সামনের সড়কে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপনকে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীরা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা বিএনপির নেতাদের ওপর হামলা করে উল্টো তাদের অপকর্ম ঢাকার জন্য বিএনপি নেতাদের নামে মামলা করেছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হাসান রনি জানান, বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে ওই সংঘর্ষের জেরে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেনের ওপর বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের নেতাদের ওপর হামলা চালায়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার রাতে মো. আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে ৯৩ জনের নাম উল্লেখ করে এ মামলা করেন।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বিকেলের দিকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট বাজারের হাসপাতাল গেইট ও থানার সামনের সড়ক  ও কলেজ গেইটে আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপন (৪৯) ও বসুরহাট পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক ওবায়দুল হক রাফেল (৩৮) সেচ্ছাসেবকদল নেতা সাইমুন (২৫) ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন (৪০) আহত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২৩
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।