রংপুর: প্রধানমন্ত্রীর জনসমাবেশকে ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে রংপুর নগরজুরে। মিছিল নিয়ে দলে দলে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেছেন রংপুর বিভাগের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
বুধবার (২ আগস্ট) বিকেলে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে হবে এ জনসমাবেশ। সকাল থেকেই সমাবেশস্থলের সামনে নেতাকর্মীরা জড়ো হচ্ছেন। অনেকে রাতেই পৌঁছেছেন সমাবেশস্থলে।
সমাবেশ উপলক্ষে চালু হয়েছে বেশ কয়েকটি স্পেশাল ট্রেন। দিনাজপুর স্পেশাল, কুড়িগ্রাম স্পেশাল, লালমনিরহাট স্পেশাল, বুড়িমারী স্পেশাল, পঞ্চগড় স্পেশাল ট্রেনে চড়েও কয়েক হজার নেতাকর্মী রংপুরে এসে পৌঁছেছেন।
রংপুর বিভাগের ৫৮ উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী-সমর্থকদের আগমনে নগরজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও রংপুরের বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা আসছেন দলে দলে। বাস, ট্রেন, মাইক্রো বাস, পিকআপ ভ্যান, অটোরিকশায় করে আসছেন তারা। অনেকে আসছেন হেঁটেও। সমাবেশ উপলক্ষে নগরের বিনোদন ও পর্যটন কেন্দ্র্রগুলোতেও ভিড় বেড়েছে। জনসভা শুরুর আগে অনেকে সুরভি উদ্যান, চিড়িয়াখানা, চিকলি ওয়াটার পার্ক, সিটি চিকলি বিনোদন পার্কসহ বিভিন্ন জায়গায় সময় কাটাচ্ছেন।
জিলা স্কুল মাঠ ও আশেপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জনসভার মাঠে প্রবেশের জন্য তিনটি গেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গেটগুলোতে বাঁশের ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। একটি গেট দিয়ে লাল ও হলুদ সবুজ কার্ডধারীরা প্রবেশ করতে পারবেন। এছাড়া মঞ্চের সঙ্গেই আরেকটি ভিআইপি গেট রয়েছে, যে গেট দিয়ে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কেন্দ্রীয় ও আমন্ত্রিত অতিথিরা প্রবেশ করবেন।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার (ক্রাইম) আবু মারুফ হোসেন বলেন, জনসভার নিরাপত্তায় পোশাক পরিহিত পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আর্মড ও সাদা পোশাকধারী সদস্যরাও মাঠে রয়েছে। জনসভাস্থল ছাড়াও পথে পথে রুট ডিউটি, চেকপোস্ট, পুরো নগরের গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশ পথ ও মোড়ে মোড়ে আছে সদস্যরা। উঁচু ভবনের ছাদে এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর প্রতি ফ্লোরে ফ্লোরে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রশিক্ষিত সদস্যরা। সেই সঙ্গে জনসভাস্থল, পুরো শহর এবং সার্কিট হাউস পুরোটাই সিসিটিভির কাভারেজে রয়েছে। সব মিলিয়ে রংপুর নগর এখন নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০২৩
এসআই